২০ দফা দাবিতে সিবিআইইউ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্ম অভিভাবকরাও
৬ অক্টোবর ২০২১ ২২:১৩
কক্সবাজার: কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (সিবিআইইউ) রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগসহ ২০ দফা দাবি শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
বুধবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সিবিআইইউয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত ‘অভিভাবক সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন’ থেকে এ ঘোষণা দেন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
সংবাদ সম্মলনে অভিভাবকরা বলেন, আমরা আমাদের প্রিয় সন্তান ও ভাই-বোনদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সিবিআইইউতে ভর্তি করিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে চরম বেইমানি করছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনো রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ করা উপচার্য। এর ফলে শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটগুলো মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় পাশ করা শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা ও চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অভিভাবকরা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা অনিয়ম নিয়ে আমাদের সন্তানরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছে। তাদের সেই আন্দোলনে সাড়া দিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ১৬ শর্ত পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়কে। এসব শর্ত পালনে ব্যর্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এরই মধ্যে এক বছরের জন্য নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি, যা আমাদের অভিভাবকদের জন্য একটি অশনি সংকেত। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, শিক্ষার্থীদের আওয়াজ ইউজিসি’র কানে গেলেও ঘুম ভাঙেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
অভিভাবক সমাবেশে অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষার্থীরা গত ৩১ আগস্ট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ২০ দফা দাবি আদায়ে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সাত জন শিক্ষার্থীকে শোকজ দেখানোর মাধ্যমে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে তারা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার পাশপাশি অভিভাবকদের সঙ্গেও ফোনে অশালীন আচরণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ, যা লজ্জাজনক। ফলে আমরা আমাদের সন্তানদের সুরক্ষা নিয়েও ভয়ে আছি। আমরা এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই। তাই আজ আমরা শিক্ষার্থীদের নায্য দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আপনাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি।
শিক্ষার্থীরা ২০ দফা দাবি আদায়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে জানিয়ে অভিভাবকরা বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অতীতে আমরা অভিভাবকরা না থাকলেও ভবিষ্যতের সব আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের পাশে থাকব। আমরা বিশ্বাস করি, শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম কখনো রাজনৈতিক হতে পারে না। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ খুব শিগগিরই রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে উপচার্য ও কোষধ্যক্ষ নিয়োগসহ শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবে।
সারাবাংলা/টিআর
অভিভাবকদের একাত্মতা কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের ২০ দফা দাবি সিবিআইইউ