এস কে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৭ অক্টোবর ২০২১ ১৫:৩০
ঢাকা: ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউকের প্লট বরাদ্দ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) মামলাটি করেন।
অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন ও তা বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবের মাধ্যমে স্থানান্তর, রুপান্তর ও হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২), (৩) ধারায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে এই মামলা করা হয়।
দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার নিজ নামে রাজউক থেকে উত্তরা আবাসিক এলাকায় একটি প্লট বরাদ্দ পান। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে ও প্রতারণার মাধ্যমে তার ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামে রাজউক পূর্বাচল প্রকল্পে তিন কাঠার আরও প্লটের জন্য আবেদন করেন। সেখানেও ভাইয়ের নামে তিন কাঠা প্লট নিশ্চিত করেন। এরপরও তিন কাঠার প্লটটিকে আবারও প্রভাব খাটিয়ে পাঁচ কাঠার প্লটে রূপান্তর করেন।’
দুদকের অনুসন্ধান থেকে জানা যায়, এসকে সিনহা ভাইয়ের নামে অবৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়া পূর্বাচলের প্লটটিও পুনরায় নিজ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পূর্বাচল থেকে প্লট স্থানান্তর করে উত্তরার সেক্টর-৪ এ রাজউক থেকে অনুমোদন করান। আর প্লটের অর্থ মোট ৭৫ লাখ টাকা নিজেই পরিশোধ করেন। পরে ওই প্লটে ৯ তলা ভবন নির্মাণ করেন।
দুদকের অনুসন্ধানকালে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, উত্তরা আবাসিক এলাকায় ভবনের নির্মাণ ব্যয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা। এছাড়া প্লটের মূল্য হিসেবে রাজউকে পরিশোধ করা হয় ৭৫ লাখ টাকা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, এসকে সিনহা অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে নিজ ভাই ও নিজের আত্মীয়ের নামে-বেনামে সম্পদ অর্জন করেছেন, যার কোনো বৈধ উৎস নেই বা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গিতপূর্ণ।
আরও পড়ুন
নিজেকে নির্দোষ দাবি করার সুযোগ হারালেন এস কে সিনহা
এস কে সিনহার ভাই-ভাতিজার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
এস কে সিনহার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ফেঁসে যাচ্ছেন নাজমুল হুদা
দুর্নীতি মামলায় এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
সারাবাংলা/এসজে/একে