‘জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি, কোম্পানির আগ্রাসন প্রতিহত করি’
৯ অক্টোবর ২০২১ ১৯:৩৭
ঢাকা: তামাক কোম্পানির আগ্রাসন প্রতিহত না করতে পারলে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। গণমাধ্যম ও মিডিয়ায় তামাক বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণ, যথাযথ প্রয়োগ এবং তামাক কোম্পানির অপকৌশল প্রতিহত করতে দ্রুত কার্যকর নীতি গ্রহণ করতে হবে।
শনিবার ( ৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের ‘জীবন বাঁচাতে তামাক ছাড়ি, তামাক কোম্পানির প্রভাব প্রতিহত করি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা তাদের এই অভিমত জানান।
অনুষ্ঠানে জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ছিলেন জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি’র সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের উপদেষ্টা সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) চেয়ারম্যান ও জোটের উপদেষ্টা আবু নাসের খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক, ‘প্রত্যাশা’ মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ ও ডাস এর উপদেষ্টা আমিনুল ইসলাম বকুল।
অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো’র তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প ব্যবস্থাপক হামিদুল ইসলাম হিল্লোলের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা মিঠুন বৈদ্য।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১১ সাল থেকে জোট তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনটিকে বেসরকারীভাবে ‘জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা আহছানিয়া মিশনের প্রকল্প কর্মকর্তা অদূত রহমান ইমন, আইডাব্লিউবি’র পলিসি অফিসার আ ন ম মাসুম বিল্লাহ ভুইয়া, নাটাবের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ, লিও ক্লাব ওয়েসিসের ট্রেজারার নেসার আহমেদ সজীব, সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন, জালাল উদ্দিনসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এআই/এমও