ঢাকা: মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরের শারদীয় সংকলন ‘অর্ঘ্যে’র মোড়ক উন্মোচন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। এসময় তিনি এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শ্মশানঘাট তৈরির জন্য ৮ কোটি টাকার অনুদান ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাতে মহাসপ্তমীতে মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরে দুর্গাপূজা পরিদর্শনে গিয়ে ডিএনসিসি মেয়র মন্দিরের শারদীয় সংকলনটির মোড়ক উন্মোচন করেন। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টু।
অনুষ্ঠানে মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতি অসীম কুমার রায় শিশির, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী সুকুমার শর্মা, মিডিয়া উপকমিটির আহ্বায়ক অরুণ কুমার ঘোষ ও শ্যামল হালদারসহ মন্দির কমিটির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ চেয়েছিলেন। এর প্রমাণ স্থানীয় কাউন্সিলর টেনু আজ টুপি পরে এখানে মঞ্চে বসে আছে। এটিই হলো অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চিত্র। এটিই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা একসঙ্গে থাকব। এজন্যই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার।
মহাসপ্তমীতে প্রসাদ খেতে চেয়েছি উল্লেখ করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এখানকার আয়োজকরা আমাকে গাড়িতে প্রসাদ পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি বলেছি, মণ্ডপে এসেই দুর্গার সামনে প্রসাদ খাব। এটাই সর্বজনীন শারদীয় উৎসবের বিষয়।
পূজার আয়োজন এবং শারদ সংকলন ‘অর্ঘ্য’ বিষয়ে মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী সুকুমার শর্মা সারাবাংলাকে বলেন, আজ থেকে ১৪ বছর আগে এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকেই পূজার উদযাপন হয়ে আসছে। প্রতিবার পূজাতেই আমাদের মন্দিরের একটি বার্ষিক সংকলন থাকে। সেটির নাম ‘অর্ঘ্য’। সেই শারদ সংকলনের আজ মোড়ক উন্মোচন হলো। এই সংকলনে রয়েছে আমাদের মন্দিরের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিবরণ। আমাদের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক কার্যক্রমের একটি প্রতিফলন হচ্ছে ‘অর্ঘ্য’।