কুয়াকাটায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, আটক স্বামী
১৭ অক্টোবর ২০২১ ১৪:২৭
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী): জেলার কুয়াকাটায় বুশরা (২০) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে শশুর বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রোববার (১৭ অক্টোবর) মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বুশরা উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের খলিলপুর গ্রামের আ. সোবহান শরীফের মেয়ে এবং কুয়াকাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড খাজুরা এলাকার ইয়াকুব খন্দকারের স্ত্রী।
মৃতের চাচা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের শেষের দিকে বুশরার বিয়ে হয়। এরপর থেকেই তার সঙ্গে স্বামী ইয়াকুবের প্রায়ই ঝগড়া হতো। এমনকি তাকে মারধর করতো তার স্বামী। এ পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার বিকেলে বুশরাকে মারধর করে তার শশুর বাড়ির লোকজন। এই কথা বাবাকে জানায় বুশরা। এ কথা শুনে বুশরাকে বাড়িতে আনার জন্য গেলে জামাই মেয়েকে না দিয়ে উল্টো গালাগালি করে শ্বশুরকে তাড়িয়ে দেয়। পরে সন্ধ্যার পরে (স্বামী) ইয়াকুব ফোন করে আমাকে (চাচা) জানায়, ‘আপনার ভাতিজিকে আমি রাগ হয়ে লাঠি দিয়ে কয়েকটা বাড়ি (মারা) দিয়েছি। আর এ কারণেই সে গলার দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
বুশরার শাশুড়ি বলেন, আমি অজু করে বাইরে গিয়েছিলাম। এসে দেখি ঘরের দরজা জানালা সব বন্ধ। পরে আমার নাতি সুমাইয়ার সহায়তায় জানালার গ্রিল ভেঙে দেখি বুশরা ঘরের আড়ার সাঙ্গে ঝুলে আছে। পরে রশি কেটে দিয়ে নিচে নামিয়ে লোকজন ডাক দেই।
কুয়াকাটা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিব শরীফ বলেন, আমি খবর পেয়ে এসে দেখি মরদেহ মাটিতে পড়ে আছে। খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মৃত বুশরার ১৮ মাসের একটি সন্তান রয়েছে।
মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনোয়ার হোসেন বলেন, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী ইয়াকুবকে পুলিশের হেফাজতে রেখেছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সারাবাংলা/এনএস