কুমিল্লায় মন্দিরে সহিংসতা ঘটিয়েছে বিএনপি-জামায়াত: তথ্যমন্ত্রী
১৭ অক্টোবর ২০২১ ১৭:৪৮
ঢাকা: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জামায়াত এবং তাদের সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠী দোসররা দুর্গাপূজায় কুমিল্লার মন্দিরে সহিংসতা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, এসব ঘটনা ভিডিও করেছে। শুধু তাই নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এগুলোর উদ্দেশ্য খুবই স্পষ্ট। তবে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রয়েছে।
রোববার (১৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে বিএনপি-জামায়াত মানুষের কাছাকাছি পৌছাতে পারেনি। সুতরাং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার উদ্দেশে এবং যারা সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে তারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটার স্বার্থে এই বিএনপি জামায়াত এবং তাদের সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠী দোসররা মিলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
বিএনপি থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে,সরকার দেশের নানারকম সমস্যাকে পাশ কাটানোর জন্য এ কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে এবং বিরোধী বা অন্য দলের উপর দোষ চাপাচ্ছে-একজন সাংবাদিক এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আরও অনেকেই বলেছেন। তাদের কাছে জানতে চাই, দেশে আর কী কী বড় সমস্যা আছে?’
তিনি বলেন, করোনা নিয়ে তো অনেক কথা বলেছেন। করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। গতকাল সংক্রমণের হার দুই শতাংশের নিচে। ভ্যাকসিনও ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজও খুলে গেছে। অথচ করোনা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে, ভ্যাকসিন নিয়েও অনেক সমালোচনা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, সরকার সবসময় চায় দেশের অগ্রগতির জন্য শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল থাকুক। যেকোনো সরকার এটাই চাইবে। যদি বিএনপিও ক্ষমতায় থাকে, তাদেরও সাধারণভাবে এটাই চাওয়ার কথা। তবে তারা সেটা চায় কি না জানি না।
তিনি বলেন, এই সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কারা রাজনীতি করে? সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নিয়ে কারা রাজনীতি করে? যারা দেশটাকে তালেবানি রাষ্ট্র বানাতে চায়, তারাতো বিএনপি জোটের মধ্যে আছে। যারা কথায় কথায় এ দেশকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র করতে চায়, তারাতো বিএনপি জোটের মধ্যেই আছে।’
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির মধ্যে অনেক নেতা আছে, যারা এ দেশটা চায় না। যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারাই এ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য কুমিল্লায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি নিশ্চয়ই বের হবে, কারা ওখানে কোরআন শরীফ রেখে গিয়েছিল। বের হওয়ার পর সবকিছু দিবালোকের মতো স্পষ্ট হবে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব পাগল না কি দেশের মানুষ পাগল? উনার বক্তব্যে মনে হয়, রাস্তায় যে পাগল ঘুরে বেড়ায় সে মনে করে সবাই পাগল আর সে নিজে ভালো। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বক্তব্যটাও সেরকম।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ