ঢাকা: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা প্রতিবেশী দেশ ভারতের মুসলমানদের ঝুঁকিতে ফেলবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দেশজুড়ে চলমান সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ কর্মসূচিতে ওবায়দুল কাদের এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে তাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়, বাংলাদেশে যত মুসলমান রয়েছে তার চেয়ে বেশিসংখ্যক মুসলমান প্রতিবেশী দেশ ভারতে রয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের মাইনরিটিকে যদি ঝুঁকির মুখে ফেলে দেই, তাহলে আমাদের চেয়েও বেশি সংখ্যক যে মুসলমান ভারতে রয়েছে, তাদের জীবনের কথা- জানমালের ঝুঁকির কথা ভাবতে হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে হিন্দুদের মন্দিরে আর বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এ সব মেনে নেওয়া হবে না। আজকে এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ রাজপথ ছাড়েনি। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারাদেশে প্রস্তুত।’
তিনি বলেন, ‘আজ কুমিল্লা থেকে যেখান থেকে এই তাণ্ডবের সূচনা, এই তাণ্ডব নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, হাতিয়ার বুড়িরচরসহ চট্টগ্রাম হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। সর্বশেষ এই বিষবাষ্প রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। কয়েকটি জেলে পরিবারের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত করেছিল। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা গ্রহণের পর হিন্দুদের যে নির্যাতন চালানো হয়েছিল নতুন করে তার পুনরাবৃত্তি ঘটছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের আমলে প্রত্যেকটি দূর্গাপূজা এবং পূজামণ্ডপে অতীতে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অথচ গেল গেল বলে এবারই শান্তি বিনষ্ট করা হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘সামনে নির্বাচন, আন্দোলনে; নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি আজকে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উসকে দিয়ে দেশে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। আমরাও জানি কারা এদের ফান্ডিং করছে। কাদের উস্কানিতে এ অপশক্তি কাজ করছে, এ সব চলতে দেওয়া হবে না।’