স্বাস্থ্য খাতের সাফল্যে সমালোচকরা চুপসে গেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২০ অক্টোবর ২০২১ ২০:০১
ঢাকা: করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ডেঙ্গু সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্য খাতের সংশ্লিষ্টরা দক্ষতা দেখিয়ে সাফল্য পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য খাতের এই সাফল্য সমালোচকদের চুপ করিয়ে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত গত দুই বছর ধরে টানা ডেঙ্গু মোকাবিলাসহ করোনার দুইটি ঢেউ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। আশার কথা হচ্ছে, প্রতি ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য খাতের সাফল্যের কাছে সমালোচকরা চুপসে গেছে এবং হেরে গেছে।
বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী জাতীয় সংসদসহ বিভিন্ন স্থানে সমালোচনায় মুখর সরকারের বিরোধী পক্ষকে ইঙ্গিত করেন।
আরও পড়ুন- ‘পদোন্নতি হবে যোগ্যতা অনুযায়ী, ঘুরতে হবে না কাউকেই’
জাহিদ মালেক বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত গত দুই বছরে দক্ষতার সঙ্গে করোনা ও ডেঙ্গু সংক্রমণ মোকাবিলা করেছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। ব্লুমবার্গ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থা দেশের প্রশংসা করেছে। সম্প্রতি জাপানের নিপ্পন পরিচালিত জরিপেও করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বের ২৬তম স্থান অর্জন করেছে। একটি অতি ঘনবসতি দেশের জন্য এটি ছোট কোনো অর্জন নয়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার স্বাস্থ্য খাতের প্রশংসা করেছেন। অথচ এক শ্রেণির মানুষ না জেনে বা না বুঝেই দেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে ঢালাও সমালোচনা করে গেছে। এই সমালোচনা তারা করেছে কারণ তারা জানে, স্বাস্থ্য খাত নিয়ে দেশের সব শ্রেণির মানুষের আগ্রহ রয়েছে।
সমালোচকদের দিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, তারা জানে স্বাস্থ্য খাতের সমালোচনার মাধ্যমে সরকারকে বিব্রত করা সবচেয়ে সহজ। স্বাস্থ্য খাতের সমালোচনার মাধ্যমে তারা প্রকৃতপক্ষে সরকারকে বারবার বিব্রত করতে চেয়েছে। আশার কথা হচ্ছে, প্রতি ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য খাতের সাফল্যের কাছে সমালোচকরা চুপসে গেছে এবং হেরে গেছে।
আরও পড়ুন- ‘স্বাস্থ্যে আসছে নতুন জনবল কাঠামো, পৌনে ৫ লাখ নিয়োগ শিগগিরই
অনুষ্ঠানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের (ইউএইচএফপিও) উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে আবারও এরকম কঠিন সময় আসতে পারে। তাই স্বাস্থ্য খাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই আরও সতর্ক থাকতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সভায় উপস্থিত উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মীদের বিভিন্ন দাবির কথা শোনেন এবং এসব দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। মন্ত্রী এসময় করোনা মোকাবিলায় উপজেলা স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা ও আন্তরিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিকন ফার্মাসিকিউটিজের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এবাদুল করীম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ মহাসচিব ডা. এম এ আজিজসহ অন্যরা। সভায় মূল প্রতিপাদ্য পাঠ করেন ইউএইচএফপিও’র আহ্বায়ক ডা. মোবারক হোসেন।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর