গেমিং শিল্প বিকাশে জাতীয় নীতিমালা দরকার— মত বিশেষজ্ঞদের
২৬ অক্টোবর ২০২১ ২১:০৫
ঢাকা: দেশের উদীয়মান শিল্প হিসেবে গেমিং অ্যাপ উন্নয়ন বিকাশে জাতীয় পর্যায়ে নীতিমালা তৈরির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ। এক ওয়েবিনারে যুক্ত হয়ে নীতি বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী এবং গেমিং উদ্যোক্তারা স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা ও এগিয়ে রাখার পরামর্শ দেন। মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মোবাইল অ্যাপ ও গেম প্রকল্পের পরামর্শক ইমতিয়াজ হানিফ, প্রযুক্তি বিষয়ক আইনজীবী ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ, সামাজিক মাধ্যম বক্তা সোলাইমান সুখন, উল্কা গেমসের প্রধান নির্বাহী জামিলুর রশিদ এবং ব্যাটারি লো ইন্টারএকটিভের চেয়ারম্যান মিনহজ ফাহমী ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন। অনলাইন অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন ইন্সপায়ারিং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান ফাহাদ।
আইসিটি বিভাগের পরামর্শক ইমতিয়াজ হানিফ জানান, দেশের মোবাইল অ্যাপ ও গেম শিল্পের উন্নয়নের জন্য ২৮৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ৪০টি গেম ডেভেলপমেন্ট ল্যাব স্থাপন করেছি। ইতিমধ্যে ১৬ হাজারের বেশি পেশাজীবী অ্যাপ উন্নয়নে মৌলিক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ৭৮০ জনকে উন্নত কোর্সে অংশ নিয়ে বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন।
উল্কা গেমসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জামিলুর রশিদ বলেন, স্থানীয় গেম স্টুডিওদের একটু সহযোগিতা করা হলে তারা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে আরও অবদান রাখতে পারবে। পাশাপাশি সঠিক নীতি কৌশলের মাধ্যমে বিদেশি গেমিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থানীয় অফিস স্থাপনের পাশাপাশি আরও বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে পারলে শিল্পটি বিকশিত হবে বলে মনে করেন জামিল। স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানের জন্য গেম উন্নয়নে সমন্বিত নীতিমালার উপরও জোর দেন তিনি।
ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ বলেন, বিশ্বে দুই ধরনের গেম আছে, দক্ষতাভিত্তিক এবং ভাগ্য নির্ধারক। যদি গেম ডেভেলপাররা ভাগ্যভিত্তিক গেমে পয়েন্টস ভাঙ্গানোর মাধ্যমে টাকা অর্জনের সুযোগ দেন তবে সেখানে জূয়া কিংবা অনৈতিক কাজের ঝুঁকি থাকে। আমি যতদূর জানি, বাংলাদেশের গেমিং প্রতিষ্ঠানরা এরকম পয়েন্ট ভাঙ্গানোরর সুযোগ দেয় না।
দেশের গেমিং শিল্প বিকাশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরিতে সরকারি উদ্যোগের প্রতি জোর দেন মোবাইল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান নগদের চিফ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার সোলায়মান সুখন।
তিনি বলেন, গেমিং শিল্পে বাংলাদেশের ছেলেরা তাদের ট্যালেন্ট প্রমাণ করেছে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদান ও সহযোগিতা করতে হবে, যাতে তারা আরও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে।
বাংলাদেশে উদীয়মান এ শিল্পকে বৃহত্তর পর্যায়ে নিয়ে যেতে স্থানীয় কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও নীতি সহায়তার প্রতি গুরত্বারোপ করেন গেম উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ব্যাটারি লো ইন্টারএকটিভের চেয়ারম্যান মিনহজ ফাহমী।
সারাবাংলা/ইএইচটি/আইই