কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সুযোগ-সুবিধা জানানোর নির্দেশ
৩১ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৫৬
ঢাকা: দেশের কারাগারগুলোতে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে লিখিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে কারা অধিদফতর থেকে পাঠানো তথ্য আদালতকে জানান আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির।
তিনি জানান, দেশের কারাগারগুলোতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে কনডেম সেলে বন্দি রয়েছে মোট ১ হাজার ৯৮৭ জন কয়েদি। এর মধ্যে পুরুষ কয়েদি রয়েছে ১ হাজার ৯৩৩ এবং নারী কয়েদি ৫৪ জন। তবে দেশে মোট কনডেম সেলের সংখ্যা ২ হাজার ৫৯৯টি। ১৯ সেপ্টম্বর পর্যন্ত এ হিসাব দিয়েছে কারা অধিদফতর।
গত ২০ সেপ্টেম্বর কারাগারগুলোতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কনডেম সেলে থাকা সব বন্দিদের তথ্য চান হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। গত ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী শিশির মনির।
চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন। রিট আবেদনকারীরা হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।
রিট আবেদনে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে আবদ্ধ রাখা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের সচিব, আইন সচিব, আইজিপি, আইজি প্রিজন, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লার সিনিয়র জেল সুপারকে বিবাদী করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম