ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৬ আসামির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১ নভেম্বর) ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে এই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবীরা। আরও ৩ আসামির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে।
এদিন সকাল ১১টায় আসামি মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, হোসেন মোহাম্মাদ তোহা ও মো. মুজাহিদুর রহমানের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন আইনজীবী রেজাউল করিম সরকার।
আইনজীবী রেজাউল করিম যুক্তি উপস্থাপনে আদালতে দেওয়া সাক্ষীদের আলোকে দাবি করেন, তার আসামিরা শুধু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তারা মারধর করেছেন এই মর্মে কোনো সাক্ষী সাক্ষ্য দেননি। আসামিরাও কোনো স্বীকারোক্তি দেননিই। ৮ জন আসামির স্বীকারোক্তিতে আসামিদের বাইরেও অনেকের নাম এসেছে। তাদের এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে।
এদিন কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলায় ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। গত ১৩ জানুয়ারি আবরার হত্যা মামলার নথিটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ পাঠানোর আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জন। এছাড়া তদন্তে আরও ছয় জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন জন পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে বন্ধ ঘরে পিটিয়ে মেরেছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।