পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ: কী ব্যবস্থা— জানতে চায় হাইকোর্ট
২ নভেম্বর ২০২১ ১৬:২৬
ঢাকা: রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছের পৌর এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে তাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ এবং পুলিশের ওপর হামলা বিষয়ে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তা জানতে চেয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে বুধবার (৩ নভেম্বর) আদালতকে জানাতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্তকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ওইদিন এ বিষয়ের ওপর শুনানি ও আদেশের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
রংপুরের হারাগাছ থানার পৌর এলাকায় তাজুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে এনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চান আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। পরে এ ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তথ্য জেনে ৩ নভেম্বর আদালতকে জানানোর জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্তর প্রতি নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত সারাবাংলাকে বলেন, ‘তাজুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে আগামীকাল জানানোর জন্য আদালত আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আমি ঘটনার পুরো বিষয় নিয়ে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলে আগামীকাল তা আদালতকে জানাব।’
গতকাল তাজুল ইসলামকে (৫৫) আটকের পর পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী হারাগাছ থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সেসময় ভাংচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়ি। তখন জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
নিহত তাজুল হারাগাছ পৌর এলাকার দালাল হাট নয়াটারী গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানায়, হারাগাছ থানা পুলিশ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হারাগাছ পৌর এলাকার নতুন বাজার বছি বানিয়ার তেপথি মোড়ে অভিযানে যায়। সেখানে তাজুল ইসলামকে মাদকসহ আটকের পর মারধর করে পুলিশ। এ সময় পুলিশ তাকে ধাক্কা দিলে পাশে দেয়ালে আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এর প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে ভাংচুর চালায় এলাকাবাসী।
তবে হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকারের দাবি, তাজুল হেরোইন সেবন করছিলেন এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযানে গিয়েছিল। আটকের পর তাকে হাতকড়া পরানো হয়। কিন্তু কাপড় নষ্ট করে ফেলায় পুলিশ তাজুলকে স্থানীয়দের জিম্মায় দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এর কিছুক্ষণ পর খবর আসে তাজুল মারা গেছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম