কয়লাভিত্তিক জ্বালানি থেকে সরে আসতেই হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী
২ নভেম্বর ২০২১ ২৩:১৬
ঢাকা: কয়লাভিত্তিক জ্বালানি থেকে সরে আসার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, কয়লাভিত্তিক জ্বালানি থেকে সরে আসতেই হবে। এছাড়া বিকল্প নেই। সরকারের সবাই কাজ করছে কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের বাড়ানোর জন্য। আমাদের সরকারের প্রতিশ্রুতি আছে। তবে আমাদের অবশ্যই কয়লাকেন্দ্রিক জ্বালানি থেকে সরে আসতে হবে। বিশ্বের সবাই যদি সরে আসে আর আমরা না আসি, তাহলে আমরা এক দিকে পড়ে যাব, অর্থাৎ একা হয়ে যাব।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) জ্বালানি বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার’ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পামন্ত্রী আরও বলেন, পরিবেশ রক্ষায় কয়লার বিরুদ্ধে সোচ্চার বিশ্বনেতারা। জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৬ স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে বিশ্ব নেতাদের অনেকেই এই অঙ্গীকার করেছেন। এখন সবুজ জ্বালানি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে গ্লাসগোতে দৃঢ় বক্তব্য রেখেছেন। তার অবস্থান এ বিষয়ে অগ্রগতিতে বড় অবদান রাখবে। আমরা শিগগিরই সেখান থেকে বেড়িয়ে আসব।
এম এ মান্নান বলেন, আমাদের বিকল্প শক্তির দিকে যেতে হবে। সোলার, হাইড্রো, ওয়েব শক্তির দিকে যেতে হবে। আমরা অনেক পরিবর্তন করেছি। আরও পরিবর্তন আসবে। রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হচ্ছে। আমরা বিকল্প শক্তি খুঁজছি। আর এসব কাজে অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনফ্রাস্ট্রচার ডেভলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইউকল) চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার নাজমুল হক। তিনি বলেন, জ্বালানি দক্ষতা অর্জনে বিনিয়োগ করলে নিজেদের লাভের পাশাপাশি লাভ হবে বিশ্ব। কারণ বিশ্বে কার্বন দূষণ কমাতে এটি ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, উন্নত মানের মেশিন ব্যবহার করলে কৃষি কাজ ও কলকারখানাগুলোতে ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ শক্তি সাশ্রয় করা সম্ভব। এছাড়া শুধু এলইডি লাইট ব্যবহার করেই ৩৬ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যায়।
ওয়েবনিয়ারে সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অথরিটির সদস্য (এনার্জি এফিশিয়েন্সি অ্যান্ড কনজারভেশন) ফারহানা মমতাজ বলেন, জাইকার সহায়তায় জ্বালানি দক্ষতা বাড়তে ঋণদান প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে স্রেডা। কিন্তু বর্তমানে এ প্রকল্প থেকে ঋণ গ্রহণে কিছুটা অনীহা দেখা যাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে এখানে সুদের হার বেশি।
তিনি আরও বলেন, এই অর্থায়নে ঋণ সুবিধার আওতায় বড় বড় প্রতিষ্ঠান সুবিধা পেলেও এসএমই খাতের কেউ কোনো সুবিধা পাচ্ছে না। আমরা এজন্য মনে করি, ঋণপ্রাপ্তির সুবিধার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাহস বাড়াতে হবে। ঋণপ্রাপ্তির যে শর্তগুলো আছে, সেগুলোও সহজ করতে হবে।
সারাবাংলা/জেজে/টিআর