ঢাকা: প্রত্নতাত্তিক নির্দশন পানাম সিটিসহ দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করছে দক্ষিণ কোরিয়া। পাশাপাশি বাংলাদেশি রন্ধনশিল্পীরা যাতে দেশটিতে গিয়ে রান্না শিখতে পারে সে বিষয়েও সহযোগিতা করার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন।
রোববার (৭ নভেম্বর) সকালে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এসব বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন।
এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধিসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত বড় সরদার বাড়ি সংরক্ষণ কাজ কোরিয়ান কোম্পানি ইয়ংওয়ানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে জানান, পানাম সিটি সংরক্ষণেও তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তিনি বলেন, ‘কোরিয়ার রন্ধনশিল্পের সারাবিশ্বে খ্যাতি রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে আগ্রহী রন্ধনশিল্পীরা যাতে কোরিয়ায় গিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য তিনি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।’
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় সংস্কৃতির মধ্যে চমৎকার সাদৃশ্য বিদ্যমান। আগামী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি হবে। এ উপলক্ষে আমরা বড় ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’ চলতি বছর আগামী ২৪ হতে ২৬ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ‘কোরিয়ান চলচ্চিত্র উৎসব’ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমন্ত্রীকে এ উৎসবে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রদূত।
সাক্ষাৎকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য-১) মো. ফাহিমুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন ও উপসচিব ড. মাসুমা পারভীন উপস্থিত ছিলেন।