‘মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ হত্যা করতেই ৭ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড’
৭ নভেম্বর ২০২১ ২২:২৫
ঢাকা: মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে হত্যা করতেই ৭ নভেম্বর দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয় বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট ও ৭ নভেম্বরের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিরা বুঝতে পেরেছিল— বঙ্গবন্ধুর রক্তের কিংবা আদর্শের উত্তরাধিকার বেঁচে থাকলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আবার তাদের ঘিরে সংগঠিত হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর খুনিরাই ৭ নভেম্বর দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করাই ছিল তাদের লক্ষ্য।
রোববার (৭ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে শহিদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা, বীরবিক্রমের শাহদতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্মরণে তুমি: ৭ নভেম্বর হারিয়েছি আমরা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলে অনেকেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে আঁতাত করে। কিন্তু ৭ নভেম্বরে হত্যাকাণ্ডের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে কখনো বিচ্যুত হননি। জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসন আমলে ১৯ বার ক্যু চেষ্টা হয়। কিন্তু প্রতিবার প্রহসনের বিচারে বেছে বেছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়।
বক্তৃতায় মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর মেজর জেনারেল (অব.) খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ টি এম হায়দার বীর উত্তম ও কর্নেল (অব.) খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমসহ সব শহিদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
শহিদ কর্নেল (অব.) খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমের কন্যা সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খাননের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশীদ বীর প্রতীক, সংসদ সদস্য সুবর্ণা মোস্তফা, শহিদ বুদ্ধিজীবী সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর
৭ নভেম্বর আ ক ম মোজাম্মেল হক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়