Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিহ্রাসে বাংলাদেশ রোল মডেল: তথ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ নভেম্বর ২০২১ ১৭:৫৮

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিহ্রাসে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান কপ-২৬ সম্মেলনের সাইড ইভেন্ট হিসেবে স্থানীয় সময় সোমবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি নিরসনে বাংলাদেশ প্রণীত ক্লাইমেট চ্যাঞ্জ স্ট্র‍্যাটেজি এন্ড অ্যাকশন প্ল্যান বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে। ফলে জলবায়ু ঝুঁকিহ্রাসে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল।

সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এই অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়নে কাজ করছে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল থেকে ৪৪৩ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৭৮৯টি প্রকল্প হাতে নিয়েছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য দূরদর্শী নেতৃত্বে এসকল পদক্ষেপের কারণেই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে দেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে।

সরকারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভালপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড-ইডকল আয়োজিত ‘বাংলাদেশের কৃষিতে জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সৌরচালিত সেচযন্ত্র ব্যবহার বিষয়ে সংলাপ’-এ মন্ত্রী দেশের কৃষিতে সোলার প্যানেলের ব্যবহার বাড়াতে সহায়তা দিতে বিশ্বব্যাংক ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি সেচকাজে ডিজেল চালিত পাম্পের পরিবর্তে জলবায়ুসহিষ্ণু, ব্যয়সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে দেশে-বিদেশে সোলার প্যানেলের ব্যবহার বেড়েছে। বাংলাদেশে এখন ১২ লাখ ৪০ হাজারের মতো ডিজেলচালিত সেচপাম্প রয়েছে। এগুলো চালানোর জন্য কৃষকদের লাখ লাখ টন ডিজেল কিনতে হয়। পাশাপাশি ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র প্রচুর কার্বন নিঃসরণ করে।

মন্ত্রী জানান, ডিজেলের পরিবর্তে সৌরশক্তিচালিত বা সোলার সেচপাম্প ব্যবহার করলে একদিকে যেমন কার্বন নিঃসরণ বন্ধের ফলে পরিবেশরক্ষা হবে, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে এবং ডিজেল কিনতে ও পাম্প মাঝে মাঝে নষ্ট হওয়ার কারণে কৃষকরা যে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন, তা সাশ্রয় হবে, কারণ সৌর-সেচযন্ত্র একটানা ২০ বছর ব্যবহারযোগ্য।

এসময় আয়োজক সংস্থার প্রশংসা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ইডকল ইতোমধ্যেই দেড় হাজার সৌরচালিত পাম্প স্থাপন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সরকারের নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতিশ্রুতি অর্জনেও সংস্থাটি ভূমিকা রাখছে। আশা করি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ও ইডকল পরিচালক মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বিশ্বব্যাংক, জাইকা, এডিবি, ইউএসএআইডি, ইউএনডিপি, জিইএফসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন। রোববার থেকে কপ-২৬ সম্মেলনে যোগদান শেষে ১৭ নভেম্বর তথ্যমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

সারাবাংলা/জেআর/আইই


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর