বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের বিষয়ে রুল
৯ নভেম্বর ২০২১ ১৯:৩২
ঢাকা: বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তদন্তের আবেদন নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা দুদক ও এফআইইউ আদালতকে জানাবে।
একইসঙ্গে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান-তদন্তে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। অর্থ সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, এনবিআর, বিএফআইইউসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনটি করেন বিনিয়োগকারী আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান খান।
পরে আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান জানান, মোশাররফ হোসেন ২০১৮ সালে আইডিআরএ’র সদস্য হন। ২০২০ সালে চেয়ারম্যান হন। রিট আবেদনকারী একটি উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগের মাধ্যমে জানতে পারেন মোশাররফ হোসেন আইডিআরএ’র প্রথমে সদস্য এবং পরবর্তী সময়ে চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় দুটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে কোম্পানি আইনের ধারা ৭(৩)(খ) অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যান বা সদস্য হওয়ার বা থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি বিমা মধ্যস্থতাকারী বা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো সংস্থার বা এইরূপ নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, কর্মকর্তা বা কর্মচারী হন বা তিনি কোনো কোম্পানি বা সংস্থার (সরকারি বা বেসরকারি) পরিচালক বা অন্য কোনো পদে নিযুক্ত থাকেন।
আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমার আবেদনকারীর কাছে মনে হয়ছে, মোশাররফ হোসেনের চেয়ারম্যান পদে থাকাটা অবৈধ। সেজন্য এর আগে, এই মর্মে একটি রিট করেছিলেন। সেই রিটে কোন অধিকারবলে মোশাররফ হোসেন পদে আছেন তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এরপর রিট আবেদনকারী আরও খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন, ওই দুটি কোম্পানির আয়কর বিভাগে দেওয়া রিটার্ন নথিতে কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বাণিজ্য নেই। তাহলে এ দুটি আয়হীন কোম্পানি। কোনো কর্মচারী থাকার কথা নয়। কিন্তু এ দুটি কোম্পানির কর্মচারীদের প্রবিডেন্ট ও গ্রাচুইটি ফান্ড রয়েছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন মোশাররফ হোসেন। আবার এ দুটি কোম্পানি শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছেন। এখন এ কোম্পানির আসল উদ্দেশ্যে কী।’
পরে এসব বিষয়ে তদন্ত করতে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু সে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বিনিয়োগকারী আবু সালেহ মোহাম্মদ আমিন মেহেদী।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম