বিচারক কামরুন্নাহারের পর্যবেক্ষণ বেআইনি: আইনমন্ত্রী
১৩ নভেম্বর ২০২১ ২১:২২
ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে জন্য প্রধান বিচারপতিকে চিঠি লিখবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ‘একটি কথা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমি ওই বিচারকের রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে এখন কথা বলতে চাই না। কিন্তু উনার (বিচারক) অবজারভেশনে ৭২ ঘণ্টা পরে পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়, এই যে বক্তব্য উনি দিয়েছেন, এটি সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ কারণে আমি প্রধান বিচারপতির কাছে তাকে বিচারক হিসেবে তার দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে জন্য একটা চিঠি লিখছি। রোববার এই চিঠি দেওয়া হবে।’
বনানীর রেইট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা হয় গত ১১ নভেম্বর। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় দেন।
আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দেন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মামলার দুই ভিকটিম আগে থেকেই সেক্সুয়াল রিলেশনে অভ্যস্ত। তারা স্বেচ্ছায় হোটেলে গেছেন।
বিচারক পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, ‘অহেতুক তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে আদালতের ৯৪ কার্যদিবস নষ্ট হয়েছে। পুলিশকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টা পর কেউ যদি মামলা করতে যায় তা যেন পুলিশ না নেয়।’
সারাবাংলা/কেএফ/একে
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ধর্ষণ মামলার রায় বিচারক কামরুন্নাহার রায়ের পর্যবেক্ষণ রেইনট্রি ধর্ষণ মামলা