জাহাজ ভাঙা শিল্পকে ‘খ’ শ্রেণিভুক্তির আদেশ বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ
১৪ নভেম্বর ২০২১ ২০:৪৯
ঢাকা: পরিবেশ অধিদফতরের জারি করা জাহাজ ভাঙা শিল্পকে লাল থেকে কমলা ‘খ’ শ্রেণি পরিবর্তন সংক্রান্ত আদেশ বাতিল চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিল্প সচিব, শ্রম সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগ এবং বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষ থেকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এর আগে, পরিবেশ অধিদফতর জাহাজ ভাঙা শিল্পের শ্রেণি পরিবর্তন করে গত ১০ অক্টোবর নোটিশটি জারি করে।
নোটিশ জারির যৌক্তিকতা, জনমত যাচাই প্রক্রিয়া ও ভিত্তি ষ্পষ্ট আকারে জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বেলা। পরিবেশ অধিদফতর উল্লিখিত আদেশের মাধ্যমে জাহাজ ভাঙা কার্যক্রমকে লাল শ্রেণি থেকে কমলা ‘খ’ শ্রেণিতে রূপান্তর করেছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি দূষণকারী প্রতিষ্ঠানকে লাল শ্রেণিভুক্ত করা হয়ে থাকে। এ শ্রেণিভুক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার ক্ষেত্রে পরিবেশগত ছাড়প্রত্র গ্রহণের পূর্বে পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ অর্থাৎ এরূপ প্রকল্প পরিচালিত হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার পরিবেশের ওপর কী প্রভাব পড়বে তা নিরূপণ করা বাধ্যতামূলক। কমলা ‘খ’ শ্রেণি বা অন্যান্য শ্রেণির শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ বাধ্যতামূলক হলেও পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ করতে হয় না বলে বেলা তাদের আইনি নোটিশে উল্লেখ করেছে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বে জাহাজ ভাঙাকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজ্জনক কাজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্জ্যের বিষক্রিয়া এড়াতে উন্নত দেশগুলো তাদের মালিকানাধীন জাহাজগুলো নিজেদের দেশে না ভাঙার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান জাহাজ ভাঙার জন্য পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ বাধ্যতামূলক করেছে। বাংলাদেশ উল্লেখিত আদেশের মাধ্যমে জাহাজ ভাঙাকে অধিক দূষণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে তুলনামূলক কম দূষণকারী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের মাধ্যমে পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ করা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম