বানীবহে ভোটে লড়বেন গুলিতে নিহত সেই চেয়ারম্যান প্রার্থীর স্ত্রী
১৫ নভেম্বর ২০২১ ২০:৫৬
রাজবাড়ী: বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ মিয়ার স্ত্রী মোছা. শেফালী আক্তার। গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাতে লতিফ মিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
সোমবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকায় আওয়ামী লীগের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন শেফালী আক্তার। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য অন্য কেউ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি।
বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল লতিফ মিয়াও চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
মোছা. শেফালী আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন সৈনিক ছিলেন। আমি নিজেও বানীবহ ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে আমার স্বামী মনোনয়ন পেতেন এবং বিজয়ীও হতেন। যে কারণে তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। যেই রাজনীতির জন্য আমার স্বামীকে জীবন দিতে হয়েছে, সেই রাজনীতির মাঠ থেকে আমি পিছপা হব না।’
রাজবাড়ীতে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতিকে গুলি করে হত্যা
তিনি আরও বলেন, ‘রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ অন্য নেতারা আমার পাশে রয়েছেন। তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য অন্য কেউ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। আমি শতভাগ নিশ্চিত যে আমি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাবো এবং বানীবহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে আমার স্বামীর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করবো।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে বানীবহ ইউনিয়নের মহিষবাথান গ্রামের নিজ বাড়ির অদূরে তিন রাস্তার মোড় থেকে আব্দুল লতিফ মিয়াকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে যায়। ফরিদপুর হাসপাতালে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এরপর শনিবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে রাজবাড়ী সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন লতিফের স্ত্রী মোছা. শেফালী আক্তার। এরমধ্যে মামলার ৫ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সারাবাংলা/এমও