Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশের সব নদ-নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা দাখিলের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ নভেম্বর ২০২১ ১৯:১১

ঢাকা: দেশের সব নদ-নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করে তা আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী হাসানুল বান্না। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, দেশের সব নদ-নদীর একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে দেশের নদ-নদী সংখ্যা ৪০৫টি, নদী রক্ষা কমিশন বলছে, দেশের নদ-নদী সংখ্যা ৭৭০টি। আর গবেষক এনামুল হক গবেষণা করে পেয়েছেন দেশে নদ-নদীর সংখ্যা ১১৮২টি। এ সব তথ্য আদালতে উপস্থাপনের পর দেশের নদ-নদীর প্রকৃত সংখ্যা জানতে চেয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া নদী রক্ষা কমিশন ২০১৯ সালে ৫৬ হাজার নদী দখলদারদের তালিকা প্রকাশ করে। এর বাইরেও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে নদী দখলদারদের যে চিত্র এসেছে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি বিভাগওয়ারী নদ-নদী দখলমুক্ত করতে কর্ম পরিকল্পনা আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়, অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ, নদী রক্ষা কমিশন, দেশের সকল বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আদালত আরও বলেছেন-দেশের নদ-নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করতে নদ-নদী বিষয়ে গবেষণা এবং নদী দখলদারদের সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে বিভাগওয়ারী একটি কর্মপরিকল্পনা ছয় মাসের মধ্যে দাখিল করতে হবে। কারণ ঢাকার নদ-নদীর ৫০ ভাগ দখলমুক্ত হয়েছে। পক্ষান্তরে বরিশালের মাত্র ৭ ভাগ নদ-নদী দখলমুক্ত করা হয়েছে। অন্যান্য জায়গায় রেকর্ড জালিয়াতির মাধ্যমে নদ-নদীর জমি দখল করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা একটি সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছি। সেই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-তুরাগ নদীতে ১১শ পিলার আদালতের আদেশের ব্যত্যয় ঘটিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। সিএস ম্যাপ নেই এই অজুহাত দেখিয়ে আরএস ম্যাপের ওপর ভিত্তি করে এই পিলারগুলো স্থাপন করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে তুরাগ নদ অনেকটা সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে।

আদালত ২০০৯ সালের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বিবেচনায় নিয়ে তুরাগ নদের সীমানা নির্ধারণ করতে বলেছেন। তুরাগ নদের সীমানা সঠিক করতে বলেছেন, যেগুলো ভুল আছে সেগুলো সংশোধন করে তুরাগ নদের সঠিক সীমানা নির্ধারণ করতে বলেছেন আদালত।

এর আগে বাংলাদেশে পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও মিনহাজুল হক চৌধুরী দেশের নদ-নদীর সংখ্যা এবং নদ-নদী দখলমুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ১৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিবাদী করে এ রিট দায়ের করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

টপ নিউজ নদ-নদী হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দশম গ্রেড দাবি করায় ৬৪ অডিটরকে বদলি
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৫

সম্পর্কিত খবর