কাটা হচ্ছে রোপা আমন ধান, দাম নিয়ে চিন্তায় কৃষক
২২ নভেম্বর ২০২১ ০৮:১৫
লালমনিরহাট: অনেক প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে লালমনিরহাটের কৃষকেরা রোপা আমন ধানের পরিচর্যা শেষে এখন তা ঘরে তুলতে ব্যস্ত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে, লাভজনক এ ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষা শেষ হবে দ্রুতই। তবে ন্যায্য মূল্য নিয়ে বরাবরের মত এবারেও চিন্তায় পড়েছেন আমন চাষিরা। বন্যা,অনাবৃষ্টি, মহামারী করোনা ভাইরাসের মতো সব দুর্যোগ মোকাবেলা করে লালমনিরহাটের কৃষকরা ফলিয়েছে লাভজনক ফসল রোপা আমন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে সময়মত ফসল ঘরে তোলার আশায় বুক বাঁধা কৃষকরা সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ধান কাটতে ব্যস্ত। গৃহস্থ বাড়ির নারী সদস্যরা ও শিশুরাও মনের আনন্দে সময় দিচ্ছে ক্ষেতে।
কৃষকদের কাছে রোপা আমনের চাষ সবচেয়ে লাভজনক একটি ফসল। কিন্তু কৃষকরা বলছে সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায়, এবার বিপাকে পড়তে হয়েছিল অনেক চাষিকেই। লাভজনক এ ফসল ফলাতে সেচের পানি দিয়ে ধান চাষে বাড়তি খরচ তো হয়েছেই পাশাপাশি অন্যান্য খরচও বেড়েই চলেছে ক্রমান্বয়ে। তবে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা না করে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন দিয়েই সেচের পানি সংগ্রহ করছিলেন এবারের আমন চাষিরা।
চলতি মৌসুমে রোপা আমনের বীজতলা বপনের সময় বৃষ্টিপাত পর্যাপ্ত না হওয়ায় অনেক কৃষকের রোপা আমনের চারা নষ্ট হয়েছে এবার। হার না মানা কৃষকেরা বাজার থেকে টাকা দিয়ে পুনরায় বীজতলা সংগ্রহ করে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ বছর এ জেলায় ৮৫ হাজার ৫ শত ১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার ৮৩৫ হেক্টর জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
এদিকে লক্ষ মাত্রা অর্জন হলেও, জেলায় ৪ দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ উপজেলার নদী তীরবর্তী অঞ্চলের কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের লোকসান পুষিয়ে নিতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ। তিনি বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চরাঞ্চলের কৃষকেরা শীতকালীন সবজি ও আগাম ভুট্টা চাষ করে ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন।’ জীবনযুদ্ধে হার না মানা প্রত্যন্ত পল্লীর কৃষকদের ফলানো, রোপা আমনের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করে সরকার কৃষকদের সহায়তা করবে এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
সারাবাংলা/একে