সনদ ছাড়া চলচ্চিত্র প্রদর্শন করলে ৫ বছরের কারাদণ্ড
২২ নভেম্বর ২০২১ ১৬:২৩
ঢাকা: সার্টিফিকেশন সনদ ছাড়া কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড কিংবা ৫ লাখ টাকা দণ্ড অথবা উভয়দণ্ড হবে। এমন বিধান সংবলিত ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফকেশন আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আইনে বলা হয়েছে- যদি কোনো ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সার্টিফিকেশনবিহীন চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন তিনি এই আইনে দণ্ডিত হবেন।
এ ছাড়া আইনের খসড়ায় ৭ সদস্যের আপিল বোর্ড রাখার কথাও বলা হয়েছে।
সোমবার (২২ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এতদিন সিনেমাগুলো অনুমোদন করা হতো সেন্সরসিপ অব ফিল্ম অ্যাক্ট- ১৯৬৩ এবং ১৯৭২ সালের সংশোধনী অনুযায়ী। পরে ২০০৬ সালে আইনটিকে সংশোধন করা হয়েছিল।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এটিকে মোডিফিকেশন করা হয়েছে যে, আইনটি সেন্সরশিপ আইন থাকা ঠিক হবে না। এটি সার্টিফিকেশন আইন হওয়া উচিৎ। তার একটা পার্ট থাকবে সেন্সর।
সচিব বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশে সার্টিফিকেশন আইন আছে। সার্টিফিকেশন আইনে গেলে সেখানে সেন্সর একটা পার্ট থাকবে। সে জন্য একটি অ্যামেন্ডমেন্ট প্রস্তাব এসেছে। এখানে খুব বেশি বা ম্যাসিভ কোনো চেঞ্জ হয়নি। সেন্সরশিপ যে আইনটি ছিল, তার সঙ্গে কিছু-কিছু যোগ করে এ আইনটা নিয়ে আসা হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগের মতোই একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। ১৪ জন সদস্যসহ মোট ১৫ জনের একটি বোর্ড থাকবে, যারা সার্টিফিকেট দেবে। চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে শ্রেণিবিন্যাস ও মূল্যায়ন পদ্ধতি করা হবে। সেটির বিধি নিয়ে নির্ধারণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘সেখানে আগের মতোই মন্ত্রিপরিষদ সচিব সভাপতি থাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘যদি কোন ব্যক্তি সার্টিফিকেশনবিহীন কোনো চলচ্চিত্র বা প্রতীকবিহীন কোনো সার্টিফিকেশন পাওয়া চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন তাহলে তিনি অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
এ ছাড়া চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর কোনো টেম্পারিং করা হয় কিংবা কোনো অংশ সংযোজন করা হয় বা এমন কোনো অংশ প্রদর্শন করা হলো যা সার্টিফিকেশন পায়নি এরকম কোনো অংশ যোগ করলে দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে