৩১ চমেক শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাখ্যান ছাত্রলীগের একাংশের
২৩ নভেম্বর ২০২১ ২১:২২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: মারামারির ঘটনায় এমবিবিএস ও বিডিএস বিভিন্ন বর্ষের ৩১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রলীগের একাংশ।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত চমেক ছাত্রলীগের সাত নেতা এক বিজ্ঞপ্তিতে একাডেমিক কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্তকে ‘বিতর্কিত’ উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চমেক ছাত্রাবাস ও ক্যাম্পাসে সবশেষ ঘটনায় হামলায় জড়িত থাকার প্রত্যক্ষ প্রমাণ রয়েছে— এমন ১৬ জনের মধ্যে মাত্র আট জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ২৩ জনের বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ না থাকার পরও তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। চমেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িতদের হেনস্থা করতে এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে একাডেমিক কাউন্সিল এ ধরনের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন- চমেকের ৩১ ছাত্র বহিষ্কার, খুলছে ২৭ নভেম্বর
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের পদে থাকা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতার তালিকা অনুযায়ী চমেক অধ্যক্ষ ডা. সাহেনা আক্তার, ডা. মনোয়ারুল হক শামীম ও ডা. প্রণয় দত্তের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে একাডেমিক কাউন্সিল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তি পাঠানো সাত ছাত্রলীগ নেতা হলেন— তৌফিকুর রহমান, কে এম তানভীর, খোরশেদুল ইসলাম, অভিজিৎ দাশ, মো. ফয়েজ উল্লাহ, সাজেদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফ উল্লাহ।
এর আগে, গত ২৯ ও ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের প্রধান ছাত্রাবাস ও ক্যাম্পাসে পৃথকভাবে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর ৩০ অক্টোবর চমেক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ২৭ নভেম্বর চমেক খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া সবশেষ মারামারিসহ গত দুই বছরে সংঘাত ও শৃঙ্খলাবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩১ ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর
৩১ চমেক শিক্ষার্থী বহিষ্কার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার