Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এলডিসি থেকে উত্তরণের সুপারিশ গৃহীত, প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৬ নভেম্বর ২০২১ ২০:৪০

ঢাকা: স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অনুমোদনপ্রাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সম্পাদকমণ্ডলীর সভার শুরুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। পরে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সম্পাদকমন্ডলীর সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সাধারণ পরিষদের ৭৬তম বৈঠকের ৪০তম প্লেনারি সভায় স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অনুমোদনের একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে পরবর্তী ধাপে উত্তরণের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করল।

জাতিসংঘের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গণ্য হবে। সাধারণত প্রস্তুতির জন্য তিন বছর সময় দেওয়া হলেও মহামারীর অভিঘাতে অর্থনৈতিক ক্ষতি সামলে উঠতে এই বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে। ১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে সিডিপির সব শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ম শেখ হাসিনাকে সম্পাদকমণ্ডলীর সভা থেকে অভিনন্দন জানানোর বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একমাত্র দেশ হিসাবে বাংলাদেশ’ই জাতিসংঘের নির্ধারিত তিনটি মানদণ্ড পূরণের মাধ্যমে এলডিসি থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। আওয়ামী লীগের এই সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় বাংলাদেশের সাফল্য সংগ্রামের সুনিপুণ কারিগর আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’

বিজ্ঞাপন

বৈশ্বিক মহামারি করোনার নেতিবাচক অঙ্গীকার জয় করে এলডিসির তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের এই স্বীকৃতি আবারো প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উন্নত সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র বিনিমার্ণের যে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন, এটা তারই ফল এবং কাঙ্খিত গতিতে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের গন্তব্যে এগিয়ে চলছে।

জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে তা অর্জিত হবেই এবং সম্ভাবনার নব নব দিগন্ত উন্মোচিত হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এদেশের মানুষের আত্মন্নোয়ন ঘটে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাঁচাতে হবে স্বাধীনতার পুষ্পিত আদর্শকে বাঁচাতে হবে বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বাধীনতার এই ৫০বছরে, এক সময়ের এই দুর্যোগ দুর্ভিক্ষ মঙ্গা, খরা, ক্ষুধা দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশ আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে উন্নয়নের গৌরবময় পথে উপনীত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্জিত হচ্ছে স্বাধীনতার স্বপ্ন। একাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ ‍মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় দেশের সামগ্রিক অগ্রগতি অর্জনের পরে আন্তর্জাতিক বিশ্বে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।’

কিন্তু ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারের হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সম্ভাবনা সেদিন থমকে দাঁড়ায়। সেখান থেকে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেৃতত্বে শত বাধা কন্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করে সেখান থেকে বাংলাদেশকে আবারও উন্নয়নের ধারায় মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ফিরিয়ে আনে সে কথা তুলে ধরেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে স্বাধীনতার ৫০বছরে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে সভায় আলোচিত নাম। বিজয়ের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতীয় বা সরকারি কর্মসূচির পাশাপাশি আমাদেরও কর্মসূচি থাকবে। আমরা জাঁকজমকভাবে বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি করব, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আলোকচিত্র, শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ডকুমেন্টারি, চলচ্চিত্র প্রদর্শন; বিজয় মেলা, অস্থায়ী বিলবোর্ড, ব্যানার ফেস্টুন স্থাপন করা হবে। একইসাথে বাংলাদেশ আওয়মাী লীগের সকল স্তরসহ সহযোগী সংগঠনগুলোকে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করার আহ্বান তিনি।

এ লক্ষ্যে খুব শিগগির ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর সাথে সভা করা হবে বলেও অবহিত করেন ওবায়দুল কাদের।

এ ছাড়া সরকার যেভাবে বিআরটিসি বাসে শিক্ষার্থীদের অর্ধেক ভাড়া নির্ধারণ করেছে, সেই আলোকে বেসরকারি গণপরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি সামাজিক দায়বদ্ধতা ও জনস্বার্থের দিকে লক্ষ্য রেখে সেভাবে বেসরকারি গণপরিবহনেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্ধেক ভাড়া গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় সম্পাদকমণ্ডলীর সভা থেকে।

আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি. আব্দুস সবুর, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সমাজ কল্যাণ ও ত্রাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অর্থ সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, অর্থ সম্পাদক আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, উপ দফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এনআর/একে

এলডিসি জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর