মেয়ে-জামাই ও ছেলের পর এবার মৃত্যুর ঠিকানায় শেফালী রাণী
৩০ নভেম্বর ২০২১ ০৯:১৭
ঢাকা: রাজধানীর মুগদায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে একই পরিবারের চারজন দগ্ধের ঘটনায় এবার মারা গেলেন শেফালী রাণী বাড়ৈ (৬০)। এরমধ্য দিয়ে একে একে ওই পরিবারের চারজনই পাড়ি জমালেন মৃত্যুর ঠিকানায়।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ভোরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ইনস্টিটিউটের জরুরী বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শেফালী রাণীর শরীরে ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে চিকিৎসাধীন মারা যায় তার মেয়ে প্রিয়াংকা বারৈ (৩২), প্রিয়াংকার স্বামী সুধাংশু বৌদ্ধ (৩৬) ও ছেলে অরুপ বৌদ্ধ (৫)।
গত ২২ নভেম্বর সকাল পৌনে ৮টার দিকে দক্ষিণ মুগদা মাতব্বরগলির ৩৭ নম্বর ৫তলা বাড়ির নিচতলায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিইটে ভর্তি করা হয়।
মৃত প্রিয়াংকার বড় ভাই পলাশ বাড়ৈ জানান, তার বোন পরিবার সহ গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার ভেদেরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে থাকেন। বোন জামাইয়ের পেট ব্যাথার চিকিৎসার কারণে পরিবার নিয়ে ঢাকায় আসেন। মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার।
তিনি জানান, ওইদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রিয়াংকা পানি গরম করতে রান্না ঘরে যায়। গ্যাসের চুলা চালু করে দিয়াশলাই জ্বালাতেই রান্না ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে হয়। এতে বাসায় থাকা তারা চারজনই দগ্ধ হন।
ঘটনার দিন মুগদা থানার উপ পরিদর্শক (পি-এসআই) ইব্রাহিম খলিল জানান, আগুনে বাসার অধিকাংশ জিনিসই পুড়ে গেছে। জানালার গ্লাসও ভেঙে গেছে। ধারনা করা হচ্ছে চালু করে রাখা গ্যাসের চুলা থেকে রান্না ঘরে গ্যাস জমে ছিল। দিয়াশলাই জ্বালাতেই সেই গ্যাস বিস্ফোরণ হয়েছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/এএম