‘বেপরোয়া চালকের পাশাপাশি বেপরোয়া পথচারীও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী’
৩০ নভেম্বর ২০২১ ১৮:৪৩
ঢাকা: পরিবহন সেক্টরে বেপরোয়া চালক যেমন দুর্ঘটনার কারণ, অনেক সময় বেপরোয়া পথচারীও দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, পরিবহন সেক্টরে দুর্ঘটনার জন্য বেপরোয়া চালক অবশ্যই দায়ী। তবে এর পাশাপাশি বেপরোয়া পথচারীও দায়ী। পথচারীরাও ট্রাফিক রুলের ব্যাপারে সতর্ক না।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথসভার শুরুতে তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবহন সেক্টরের নৈরাজ্য থামছে না— এতে লাগাম টানার উপায় বা করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পরিবহন সেক্টরে বেপরোয়া চালক যেমন অ্যাক্সিডেন্টের কারণ, অনেক সময় বেপরোয়া পথচারীও দায়ী। নগরীর রাস্তায় বের হলেই দেখা যায়, সবকিছুকে উপেক্ষা করে কীভাবে ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ রাস্তায় ছুটছে। সামনে-পেছনে ছুটন্ত গাড়ি। সেদিকে কারও লক্ষ্য নেই। বেপরোয়া চালক এখানে অবশ্যই দায়ী। তবে এর পাশাপাশি বেপরোয়া পথচারীরও দায় আছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘তবে ইদানিং তিন চাকার ছোট ছোট গাড়িগুলো হাইওয়েতে দুর্ঘটনার বেশির ভাগ কারণ। ইদানিং মোটরসাইকেলের উপদ্রব বেড়ে গেছে। নিয়ম মানে না। ঢাকা সিটিতে দেখবেন, হেলমেট ব্যবহার করছে সাধারণ মানুষ, সাধারণ যাত্রী-চালকরা। কিন্তু যখনই দেখবেন ঝাঁকে ঝাঁকে হেলমেট ছাড়া তিন জন একসঙ্গে রাস্তায়, কোনো নিয়ম মানছে না— এরা কিন্তু রাজনৈতিক কর্মী।’
ইউপি নির্বাচন সন্তোষজনক ও উৎসব মুখর পরিবেশে হচ্ছে বলে দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার সৎ সাহস আমাদের আছে। আমরা খতিয়ে দেখছি কোথায় কোথায় সমস্যা হয়েছে। কোথায় কোথায় ঘাটতি রয়েছে এবং সে ব্যাপারে আমরা নিজেরা কেন্দ্রীয়ভাবে সতর্ক করছি। যাতে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা যায়। এ ব্যাপারে আমরা সামনের নির্বাচনগুলোতে আরও সতর্ক হব।’
জাঁকজমক, উৎসবমুখর একটা বর্ণাঢ্য সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পালন করা হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। মুজিববর্ষের সমাপণী কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড যাতে নিজেদের আত্মপ্রচারের উপলক্ষ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা যদি সৌজন্য পোস্টার, সৌজন্য বিলবোর্ড, সৌজন্য ফেস্টুন করেন, সেটা দলের নামে করেন। দল কেন হারিয়ে যাচ্ছে। ব্যক্তি যদি করেন তাহলে আপনার নামটা দেন, ছবিটা দেবেন না।’
আর বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা দলের ব্যানার-ফেস্টুনে তার ছবি দিতে নিষেধ করেছেন বলেও নেতাকর্মীদের অবহিত করেন ওবায়দুল কাদের।
সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম