২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে মৃত্যু, কমেছে সংক্রমণ
৮ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:১১
ফাইল ছবি
ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন ছয় জন। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল পাঁচ। তবে একই সময়ে দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২৭৭ জনের শরীরে, যা আগের দিন ছিল ২৯১ জন।
এদিকে, নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার কমেছে। আগের দিন এই হার ছিল ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় তা কমে হয়েছে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টার করোনায় সংক্রমণ-মৃত্যুর এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৮৪৮টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৫১টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৫৭টি ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাব ৬৪০টি।
এসব ল্যাবে পরীক্ষার জন্য সারাদেশের বিভিন্ন বুথ থেকে ২০ হাজার ৬৪৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এদিন নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ৫৪৯টি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ১ কোটি ১০ লাখ ৪১ হাজার ৪০৬টিতে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৮ লাখ ৩৭ হাজার ৯৩৬টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৩১ লাখ ৩ হাজার ৪৭০টি।
আগের দিন দেশে ২৯১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২৭৭ জনের শরীরে। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হলো ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ জনের শরীরে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।
সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির সংখ্যা কমেছে
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগীদের মধ্যে সুস্থ হওয়ার রোগীর সংখ্যা কমেছে। আগের দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন ৩০৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৯৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ২০৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মৃত্যুর পরিসংখ্যান
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ছয় জন মারা গেছেন তা নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণে মোট মৃত্যু দাঁড়ালো ২৮ হাজার ১৬ জনে। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
সারাবাংলা/এসএসএ
