‘ব্যবসা স্বার্থ, ক্ষমতার প্রভাব— স্বাধীনতা হারাচ্ছে গণমাধ্যম’
৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:১১
ঢাকা: ব্যবসায়িক স্বার্থ ও শক্তিশালী বিভিন্ন মহলের প্রভাবে বাংলাদেশের গণমাধ্যম তার স্বাধীনতা হারাচ্ছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশের বর্তমান সাংবাদিকতার অবস্থা বর্ণনা করতে এ কথা বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের (৯ ডিসেম্বর) এই অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা: গণমাধ্যমের প্রাতিষ্ঠানিক চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক প্রবন্ধটি তুলে ধরেন টিআইবির অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর জাফর সাদিক। অনুষ্ঠানে টিআইবির অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় এবং বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।
লিখিত প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশে নানা চাপ ও শক্তিশালী বিভিন্ন প্রভাবের মধ্যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল। এ দেশে গণমাধ্যমের উত্থান ও প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ বাণিজ্যিকরণ হয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৩২টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অধীনে রয়েছে দেশের ৪৮টি গণমাধ্যম। এসব পত্রিকা মালিকের স্বার্থের ঢাল হিসেবে কাজ করছে।
জাফর সাদিক তার প্রবন্ধে বলেন, গণমাধ্যমের লাইসেন্স পাওয়া নির্ভর করছে সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর। অন্তত ২০টি আইন, ধারা ও নীতিমালা মিডিয়ার ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করছে। এ কারণে দেশে বহু গণমাধ্যম গড়ে উঠলেও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত হয়নি।
আলোচনা সভায় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ সামাজিকভাবে করতে হবে। প্রত্যেক নাগরিককে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে সাংবাদিকতার জন্য যে পরিবেশ দরকার, সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। সেই জায়গা থেকে আমরা দেখতে পাই, বাংলাদেশে সাংবাদিকতার জন্য একটি প্রতিকূলতা তৈরি হয়েছে।
সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক তালাত মাহমুদ, মিরাজ আহমেদ চৌধুরী, সুজন কবির, রিয়াজ আহমেদ, বদরুদ্দোজা বাবু এবং জুলফিকার আলী মালিক। এরা সবাই নিজেদের বক্তৃতায় বাংলাদেশে চলমান সাংবাদিকতার সংস্কৃতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
সারাবাংলা/টিএস/টিআর