আজকের পঞ্চাশে দাঁড়িয়ে আগামী পঞ্চাশের পথ রচনা করতে হবে: স্পিকার
১১ ডিসেম্বর ২০২১ ২২:৪৭
ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সংসদ সদস্য শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আজ স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে দাঁড়িয়ে আমাদের আগামী পঞ্চাশ বছরের পথ রচনা করতে হবে। আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে। আমাদের জাতির ইতিহাস, স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস, জাতির পিতার লেগ্যাসি সবকিছুকে ধারণ করে আজকে পঞ্চাশ বছর থেকে আগামী পঞ্চাশ বছরের পথ রচনা করতে হবে।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ক্যাথলিক চার্চের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর উদযাপনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
স্পিকার এ সময় বাংলাদেশের উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরে বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র বিশ্বে ‘উন্নয়ন বিস্ময়’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি, দেশের প্রতিটি প্রান্তে বিদ্যুতায়ন হয়েছে, ৯ লাখ গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর বানানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়নসহ সবদিক দিয়েই তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।’
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দরিদ্র আর বঞ্চিত মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শতকরা চল্লিশ ভাগ থেকে কমিয়ে শতকরা একুশ ভাগে আনার স্বত্বেও যেসব দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষ আছে যারা এখনও ‘আলট্রা পুওর’ তাদেরকে উন্নয়নের মূলধামূলধারায় আনতে হবে। তাহলেই আমরা প্রকৃত উন্নয়নের স্বাদ পাব বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার।
একইসঙ্গে বাহাত্তরের সংবিধানে জাতির পিতা যে শোষণ, বৈষম্য, দারিদ্র্য, ক্ষুধা ও বঞ্চনামুক্ত দেশের স্বপ্ন দেখেছেন সেই স্বপ্ন পূরণ করার সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি। এ সময় তিনি জনসংখার বড় অংশ তরুণ প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সেই শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষকে ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষণ উল্লেখ করে বাংলাদেশ ক্যাথলিক চার্চের এই আয়োজনে ধন্যবাদ জানান স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান নেতা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অল্পই সময় পেয়েছিলেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে কিছুই ছিল না। ব্যাংকে টাকা নেই, রাস্তাঘাট-ব্রিজ-কালভার্ট সব ভাঙা এমন একটা দেশ গড়তে মনোনিবেশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাকে বাঁচতে দেওয়া হয়নি। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করার মাধ্যমে উন্নয়নের যাত্রা থামিয়ে দেওয়া হয়।’
এ সময় তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার কাছে জাতির পিতার স্বপ্ন বিনির্মাণে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
সারাবাংলা/আরএফ/