এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার যুক্তরাষ্ট্রের
১৪ ডিসেম্বর ২০২১ ২১:১৭
ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত এ অঞ্চলে চীনের ‘আগ্রাসী কর্মকাণ্ড’ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওয়াশিংটন আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কূটনৈতিক, সামরিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তার দেশের এমন অবস্থানের কথা জানান।
অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবকাঠামোগত ব্যবধান কমাতে এবং নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট পরিষেবা নিশ্চিত করতে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তার মিত্র এবং অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে। যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক অংশীদারদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে একটি কৌশল অবলম্বন করবে যা দেশগুলোকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে একত্রিত করবে।
চীনের সমালোচনা করে ব্লিনকেন বলেন, উত্তর-পূর্ব এশিয়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত মেকং নদী এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে বেইজিংয়ের আগ্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। খোলা সমুদ্রকে নিজেদের বলে দাবি এবং রাষ্ট্র-চালিত কোম্পানিগুলোতে ভর্তুকি দিয়ে মুক্ত বাজারকে বিকৃত করছে বেইজিং।
অ্যান্টোনি ব্লিনকেন জোর দিয়ে বলেন, আমরা দক্ষিণ চীন সাগরে জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। সেখানে প্রতিবছর তিন লাখ কোটি ডলার মূল্যের পণ্য চলাচলের হুমকি হয়ে উঠেছে বেইজিং।
ব্লিনকেন জানান, তার দেশ এশিয়ার মিত্র রাষ্ট্র জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করবে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ানের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব জোরদার করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী মাসে মার্কিন-আসিয়ান নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করার পরিকল্পনা করছেন বলেও জানান ব্লিনকেন। ওই শীর্ষ সম্মেলনে অবকাঠামো, জনস্বাস্থ্য এবং নবায়নযোগ্য শক্তিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোতে সহায়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচনা করবেন জো বাইডেন।
আরও পড়ুন
সারাবাংলা/আইই