কুয়েট অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের মরদেহ উত্তোলন
১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:১৬
কুষ্টিয়া: অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে তোলা হয়েছে।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ সাদাতের তত্ত্বাবধানে অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের মরদেহ তোলার কাজ শুরু করা হয়।
মরদেহ উত্তোলনের সময় খুলনা মহানগর পুলিশের খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার বিশ্বাস, একই থানার ওসি তদন্ত ও এই মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা শাহরিয়ার হাসান, কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি, ড. সেলিম হোসেনের বাবা মো. শুকুর আলীসহ এলাকাবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন- কুয়েট শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যু, ৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
কবর থেকে অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের মরদেহ তোলার পর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আবারও সেখানেই তাকে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে কুয়েট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেনের মৃত্যু হয়। পরদিন ১ ডিসেম্বর তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রামে দাফন করা হয় ময়নাতদন্ত ছাড়াই। তবে ড. সেলিমের মৃত্যুর পর থেকেই কুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে আসছেন, তার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তারা ড. সেলিমের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ড. সেলিমের স্বজনরা এবং এলাকাবাসীও তার মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড অভিহিত করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানিয়ে আসছেন।
এর মধ্যে কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আনিচুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতেও অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুকে অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাতে মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধানের তাগিদ দেওয়া হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ড. সেলিমের মরদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন খুলনা মহানগর পুলিশের খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহরিয়ার হাসান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কবর থেকে মরদেহ তুলে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কুষ্টিয়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/এসএসএ