বাংলাদেশ-ফ্রান্স সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদ
১৯ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৫৩
ঢাকা: বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদারের বিষয়ে আশাবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত নভেম্বরে তার ফ্রান্স সফর নিয়েও সন্তোষ জানিয়েছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত নভেম্বরে ফ্রান্স সফরের আলোচনা ও ফলাফল নিয়ে আমি খুব খুশি। আগামী দিনগুলোতে এই সম্পর্কের গতি বজায় থাকার বিষয়ে আমি আশাবাদী।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত জিন-মারিন শুহ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ আশাবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী গত নভেম্বরে প্যারিস সফরে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। আলোচনায় শেখ হাসিনা বলেন, ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধন রয়েছে। ফ্রান্স সরকার ও জনগণ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিল।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, তার সরকার কোভ্যাক্সের অধীনে ১২ লাখ কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে। ফ্রান্স আগামী ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতিত্ব নিতে যাচ্ছে এবং একই মাসে এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে একটি ইন্দো-প্যাসিফিক শীর্ষ সম্মেলন করতে চলেছে বলেও জানান তিনি।
ফরাসি রাষ্ট্রদূত ইন্দো-প্যাসিফিক সামিটে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে জানান। তিনি বলেন, ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি যৌথ ইশতেহার সই হয়েছে, যা দেশগুলোর সম্পর্কের অনেক দিককে কভার করেছে। ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক বাড়ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
কোভিড-১৯-এর প্রভাব সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের বিপুলসংখ্যক জনসংখ্যা এবং মহামারি সত্ত্বেও অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে পেরেছি।
পরে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে তার ফলপ্রসূ কার্যকালের জন্য প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশ-ফ্রান্স সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে গতিশীল ভূমিকা রাখার জন্য ধন্যবাদ জানান।
জিন-মারিন শুহ এবারে আফগানিস্তানে ফ্রান্সের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়ে তিনি সেখানেই কাজে যোগ দেবেন। বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে তার নতুন কর্মস্থলের জন্যও শুভকামনা জানান প্রধানমন্ত্রী।
জিন-মারিন শুহ ঢাকায় দায়িত্ব পালনের সময় সরকারের সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। রাষ্ট্রদূত গত বছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করে বলেন, মহামারির সময়েও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। ফরাসি রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামে অলিয়াঁস ফ্রঁসেজ সম্প্রসারণ করতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা চান। বাসস।
সারাবাংলা/এনআর/টিআর
জিন-মারিন শুহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফরাসি রাষ্ট্রদূত বিদায়ী সাক্ষাৎ