Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে বীর মুক্তিযোদ্ধা খুন, আহত ৬

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২১ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:০৯

কেরানীগঞ্জ: জেলার করের গাও এলাকায় গাজী মো. শহিদুল্লাহ নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং ৬ জনকে গুরুত্বর আহত করা হয়েছে।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ছয় জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল আসামিকে গ্রেফতার করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মৃতদের স্বজনরা জানায়, বেশ কয়েক দিন আগে করের গাও এলাকার ভাই ভাই ইন্টারনেটের মালিক মমিন ও শামীম বকেয়া বিল আদায়ের জন্য মৃতের নাতি মো. নাদিম হোসেনের (২২) বাড়ি যায়। নাদিম বকেয়া বিল এখন দিতে পারবে না বলে তাদের দুই দিন পর আসতে বলে। আর এতেই ইন্টারনেটের মালিক মোমিন ও শামিম নাদিমসহ তার পুরো পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি দেয়।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নাদিম তার এক স্বজনকে রক্ত দিতে কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর এলাকার একটি হাসপাতালে গেলে মোমিন ও শামীমসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জন দুর্বৃত্তরা সেখানে নাদিমকে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। তখন ভয়ে নাদিম তার নানা বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী মো. শহিদুল্লাকে ফোন করে। নাতিকে রক্ষার জন্য কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেখানে গেলে মোমিন ও শামিম বাহিনী ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপানো শুরু করে। এ সময় তার পেটের বাম পাশে ছুরির আঘাত লাগে।

এছাড়াও আরও ছয় জন তখন মোমিন ও শামিম বাহিনীর ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে রয়েছেন: আবিদ, সাইফুর রহমান, মাসুম, আসাদুর, আব্দুর নূর সহ বেশ কয়েকজন। তাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজী মো. শহিদুল্লাহর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে শনিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

মৃত শহিদুল্লাহর ভাতিজা গাজী আমান উল্লাহ জানান, তার চাচা স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু, ছুরিকাঘাত ও প্রচণ্ড মারধরের কারণে বাড়িতে আসার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোমবার রাতে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। খবর পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মৃতের মেয়ে ফাতেমা জাহান বলেন, তার বাবা দেশ ও রাষ্ট্র রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন আর আজ তাদের পরিবারের ওপর হামলা করে বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি তার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চান।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে জানায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহসহ কয়েকজনকে মারধর ও ছুরিকাঘাতে আহত করার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় প্রধান আসামিকে ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর যেহেতু বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে, তাই মামলাটিতে অন্যান্য ধারার সঙ্গে খুনের ধারাও যুক্ত হবে।

সারাবাংলা/একেএম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য চলছেই
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০০

সম্পর্কিত খবর