স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ধর্ষণ: ৪ জনের নামে মামলা
২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ২১:১৫
কক্সবাজার: কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় চার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে কক্সবাজার সদর থানায় ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী চার জনকে আসামি করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। গুরুত্বের সঙ্গে আমরা মামলাটি তদন্তের ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মামলার এজাহারে যে চার আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন— আশিকুল ইসলাম আশিক, ইসরাফিল জয় প্রকাশ জয়া, মেহেদী হাসান বাবু ও রিয়াজ উদ্দিন ছোটন। এর মধ্যে ছোটন জিয়া গেস্ট ইনের হোটেল ম্যানেজার।
আরও পড়ুন-
- কক্সবাজারে গৃহবধূ ধর্ষণ: জড়িতদের শনাক্ত করেছে র্যাব
- স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় শনাক্ত ২
- কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
- ধর্ষণের শিকার হয়ে ৯৯৯-এ ফোন, উদ্ধার না করে জিডির পরামর্শ
আসামিদের মধ্যে আশিকুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে এবং ইসরাফিল জয় প্রকাশ জয়া একই এলাকার মো. শফিকের ছেলে। তাদের বাড়ি কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকায়। মামলার আসামি মেহেদী হাসান বাবুর পরিচয় জানা যায়নি। র্যাব জানিয়েছে, তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
জানা গেছে, বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজার বেড়াতে যান ওই নারী। শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে ওঠেন তারা। সেখান থেকে বিকেলে যান সৈকতের লাবণী পয়েন্টে। সেখানে অপরিচিত এক তরুণের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী জানান, ওই সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেন তিন তরুণ। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন তারা। এরপর তাকে নেওয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করেন ওই তিন তরুণ। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুমের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।
ভুক্তভোগী নারী জানান, পরে জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক তরুণের সহায়তা রুমের দরজা খোলেন তিনি। এরপর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার না করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরামর্শ দেয়। পরে তিনি র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করলে র্যাব অভিযান চালিয়ে ওই হোটেল থেকে তাকে উদ্ধার করেন। পরে হোটেলের ম্যানেজারকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে র্যাব।
কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, খবর পেয়ে স্বামী-সন্তান ও গৃহবধূকে উদ্ধার করেছি। জড়িত তিন তরুণকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। একইসঙ্গে জিয়া গেস্ট ইন হোটেলর ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটনকে আটক করা হয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর
কক্সবাজারে ধর্ষণ ধর্ষণ মামলা পর্যটক ধর্ষণ স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে ধর্ষণ