বরিশাল: এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকার সদরঘাট থেকে প্রায় ৫ শতাধিক যাত্রী নিয়ে বরগুনার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে লঞ্চটি যখন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলাসংলগ্ন সুগন্ধা নদী অতিক্রম করে তখন এর ইঞ্জিনে লাগা আগুন পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে যায়। এর প্রায় এক ঘণ্টা আগেই লঞ্চটিতে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।
লঞ্চে আগুন ছড়িয়ে পড়লে যাত্রীদের আর্তনাদ, হৈ-চৈ আর চিৎকারে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। প্রাণ বাঁচাতে নারী, পুরুষ ও শিশুরা নদীতে ঝাঁপ দিতে থাকেন, যাদের অনেকে এখনও নিখোঁজ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুর্ঘটনায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দিয়াকুল গ্রামের নদী তীরে লঞ্চটি ভেড়ানো হলেও দ্রুত নামতে গিয়ে আটকে পড়া যাত্রীদের অনেকে আহত হন। কেউ কেউ শিশু সন্তান হারিয়ে এখনও খুঁজে পাননি।
শেবাচিম হাসপাতালে বন্ধ বার্ন ইউনিট, দগ্ধদের চিকিৎসা সার্জারিতে
নৌ পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (বরিশাল জোন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘রাত সাড়ে ৩টার দিকে লঞ্চটি যখন নলছিটি ক্রস (অতিক্রম) করে তখন এর ইঞ্জিনে আগুন লাগে। কিন্তু লঞ্চটি নলছিটিতে স্টপেজ দেয়নি, ঝালকাঠিতেও স্টপেজ দেয়নি। লঞ্চটি প্রায় ১ ঘণ্টা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চলতে থাকে। পরবর্তীতে ইঞ্জিনের আগুন সম্ভবত তেলের ট্যাঙ্কিতে লাগে এবং বিকট শব্দে লঞ্চটি ঘটনাস্থলে এসে থেমে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চালক বা ইঞ্জিনের দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের গাফিলতির কারণেই যে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে নৌ পুলিশ এ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন:
- লঞ্চে আগুন: আরও ২ তদন্ত কমিটি
- লঞ্চে আগুন: ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি
- লঞ্চে ভয়াবহ আগুন: প্রাণহানি বেড়ে ৩৯
- লঞ্চে ভয়াবহ আগুন, ১৬ জনের লাশ উদ্ধার
- লঞ্চে দগ্ধদের চিকিৎসায় ঘাটতি হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- সুগন্ধার বাতাসে পোড়া লাশের গন্ধ, তীরে স্বজনদের ভিড়
- লঞ্চে আগুন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর শোক, যাচ্ছেন ঝালকাঠি
- ঘুম ভেঙে কয়েকশ যাত্রী দেখলেন— মরতে হবে ডুবে, নয়তো আগুনে