আহামেদ বাওয়ানী স্কুলে নারীর মরদেহ, সঙ্গে চিরকুট
২৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৫১
ঢাকা: পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় আহামেদ বাওয়ানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন ভবনের নিচ তলা থেকে পারভীন বেগম (৪৭) নামে এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। তার ছোট মেয়ে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারের সময় মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পারভীনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মৃত পারভীনের স্বামী আব্দুল বাসেত কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে সিদ্দিক বাজারে থাকতেন। তিন সন্তানের মধ্যে ছোট মেয়ে আহমেদ বাওয়ানী স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। বড় মেয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী।
বংশাল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শিশির কুমার কর্মকার বলেন, স্কুলের নির্মাণাধীন ভবনের নিচ তলায় মরদেহটি পড়ে ছিল। মেঝেতে পড়ে থাকা পারভীনের মুখমণ্ডল রক্তাক্ত দেখা গেছে। তার মুখের কয়েক জায়গায় একটু ক্ষতও রয়েছে। পাশেই ইঁদুর মারার বিষের খালি বোতল পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে বেজি অথবা ইদুরের কামড়ে ক্ষতগুলো তৈরি হয়েছে।
চিরকুটের তথ্য জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ওই চিরকুটে লেখা আছে— ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না।’ আরেকটি চিরকুটে লেখা আছে— ‘এই স্কুলে আমার সন্তান পড়াশোনা করে। আমার বাড়ি সিদ্দিক বাজারে।’
পুলিশ জানিয়েছে, সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গেছে— রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ওই নারী ভবনের নিচতলায় প্রবেশ করেছেন।
পুলিশ পরিদর্শক শিশির কুমার বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর