ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের প্রস্তাব ওয়ার্কার্স পার্টির
২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:৫৪
ঢাকা: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে সংবিধানের বিধান অনুযায়ী আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছেন রাষ্ট্রপতির কাছে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির সাথে সাত সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধিদল লিখিতভাবে এ প্রস্তাব করে। ওয়াকার্স পার্টির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি।
লিখিত প্রস্তাবে আইনমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, আইনমন্ত্রী সংসদে বলেছেন আইন প্রণয়নের যথেষ্ট সময় নেই। তবে সংসদে উদাহরন আছে যে বর্তমান সময়ের চেয়েও কম সময়ের মধ্যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে যে সার্চ কমিটি গঠনের কথা বলা হচ্ছে সে ক্ষেত্রেও সার্চ কমিটির দেওয়া নামগুলোর সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির যাচাই-বাছাইয়ের পর রাষ্ট্রপতিকে পাঠাতে হবে। তিনি সেই তালিকা থেকে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করবেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির তরফ থেকে রাষ্ট্রপতিকে ‘নাগরিকবৃন্দ সংলাপ’ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশন গঠনে সর্বসম্মত মতামত গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়— নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কাজের প্রতি তদ্রুপ মান্যতা ও মর্যাদা থাকতে হবে যেন নির্বাচন পরিচালনা তত্ত্বাবধানে নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণমুক্ত স্বাধীন পরিবেশ কাজ করতে পারে। সংবিধানের ১১৮ বিধি বাস্তবায়নের পথে আইনের বিধানাবলী অনুসারে প্রধান নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি আইন তৈরি করতে পারে।
জাতীয় সংসদের নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে শুরুতেই এই আইন উত্থাপন করে জরুরি ভিত্তিতে তাপাশ করা যেতে পারে এই দাবি সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণের।
লিখিত প্রস্তাবে বলা হয়— নির্বাচন কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত সংবিধান বর্ণিত বিডি পরিপূর্ণ আপনি সরকারকে এই নির্দেশ দিতে পারেন অন্যথায় প্রতিবারের মত এবারও নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিতর্ক জন্ম দেবে এবং এ ধরনের আস্তানার পরিবেশে নির্বাচন কমিশন যথাযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারবে না।
আইন অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনাররা নিয়োগের জন্য নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি সাংবিধানিক কাউন্সিল থাকবে। প্রধানমন্ত্রী দলের নেতা স্পিকার প্রধান বিচারপতি ও জেনারেল কে নিয়ে এই এই সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠিত হবে এই সাংবিধানিক কাউন্সিল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন কমিশনার দের নিয়োগের জন্য নাম প্রস্তাব করবেন। তবে বিকল্প হিসাবে যে সার্চ কমিটি গঠন করার প্রস্তাব করা হচ্ছে সে ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদাতিকের নেতা গঠন করা যেতে পারে। তারা প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রতিপদের চারজনের নাম প্রস্তাব করবে।
সার্চ কমিটির দিয়া নামের তালিকা সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটি বাছাই করে সেখান থেকে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করবে। প্রতি ওই তালিকা থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের। নির্বাচন কমিশনের পাঁচ সদস্যের মধ্যে দুইজন নারী সদস্য থাকবেন। নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী আইন সময়ে যথাযোগ্য প্রয়োজন নিশ্চিত করতে হবে। ওয়ার্কার্স পার্টি আশা করে একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ ও কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন গঠন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তাদের প্রস্তাবে বলে বিবেচনা পাবে।
মঙ্গলবার সংবিধানে উল্লিখিত নিয়ম মেনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সংলাপে যোগ দিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি। চলমান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পঞ্চম দিনে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বঙ্গভবনে পৌঁছান ওয়ার্কাস পার্টির নেতারা।
ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে ৭ জনের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে