নারায়ণগঞ্জ: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, এবারের বাণিজ্য মেলায় বাইরে ও ভেতরে ২২৫টি স্টল দেওয়া হয়েছে। করোনার কথা বিবেচনা করে মেলায় স্টলের সংখ্যা কমানো হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মেলার এক্সিবিশন সেন্টারে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্যমেলার ভেতরে রাস্তা প্রশস্ত করা হয়েছে। পরবর্তী বছরে সিচুয়েশন অনুযায়ী মেলায় স্টল বাড়ানো হবে। ২০২২ সালে মেলা এভাবেই শুরু করতে যাচ্ছি। এবারের মেলায় সাতটি মিনি প্যাভেলিয়ন আছে। বঙ্গবন্ধুর নামে একটি প্যাভিলিয়ন করা হয়েছে। এই প্যাভিলিয়নে বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কে দর্শনার্থীরা জানতে পারবেন।’
টিপু মুনশি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর একটা স্বপ্ন ছিল আমাদের নিজস্ব একটা এক্সিবিশন সেন্টার হবে। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নিজস্ব এক্সিবিশন সেন্টারের কথা বলেছিলেন। ১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্যমেলা হয়ে আসছে। করোনা মহামারির কারণে মেলা বন্ধ ছিল। আগামীকাল শনিবার থেকে আমরা বাণিজ্যমেলা আবারও শুরু করতে যাচ্ছি। শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মেলার উদ্বোধন করবেন।’
প্রথমবারের মতো পূর্বাচলে বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু সমস্যা আছে আপনারা জানেন। মোটামুটি মেলা নিয়ে লক্ষ্যের ৮০ শতাংশ অর্জন করতে পেরেছি। মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য ৩০টি বিআরটিসি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য বাসগুলো কুড়িল থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত যাবে। এই ১৪ কিলোমিটার রাস্তার বাস ভাড়া ধরা হয়েছে ৩০ টাকা।’
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, অন্য বছরের মতো মাসব্যাপী এ মেলা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত)। মেলার টিকিটের মূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা, শিশুদের জন্য ২০ টাকা।
বাণিজ্যমেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল ও ১৫টি ফুড স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার (প্রায় ১,৫৫,০০০ বর্গফুট) আয়তনের দু’টি হলে সব স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। মেলা কমপ্লেক্সের বাইরে (সম্মুখ ও পেছনে) প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও ফুড স্টল নির্মাণ করা হয়েছে।