লালমনিরহাটে পৌঁছায়নি ৫ম শ্রেণির কোনো বই
২ জানুয়ারি ২০২২ ০৮:৪৮ | আপডেট: ২ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:২০
লালমনিরহাট: বই উৎসবে লালমনিরহাটে পৌঁছায়নি পঞ্চম শ্রেণির কোনো বই। এছাড়াও ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ৭৮ শতাংশ বই আসেনি। বইয়ের অভাবে গত বছরগুলোর মতো জমে ওঠেনি বই উৎসব।
শনিবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে সারাদেশের মতো লালমনিরহাটেও বই বিতরণ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, শিশু শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের প্রথম দিনই বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়। তাই ১ জানুয়ারিকে সরকারিভাবে বই উৎসব ঘোষণা করা হয়। নতুন বছর শুরুর আগেই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাহিদা মতো পৌঁছে যায় নতুন বই। বছরের প্রথম দিনে নতুন বই নিয়ে আনন্দ মনে বাড়ি ফেরে প্রতিটি শিক্ষার্থী। কিন্তু এ বছর বই উৎসবেও লালমনিরহাটে পৌঁছেনি শতভাগ বই।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৬ষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত জেলার ৫টি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভার শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫ লক্ষাধিক বইয়ের চাহিদা থাকলেও এখন পর্যন্ত পৌঁছেছে মাত্র ২২ শতাংশ। ৭৮ শতাংশ বইয়ের ঘাটতি রেখেই বই উৎসব শুরু করা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে। বই প্রকাশনায় বিলম্ব হওয়ায় মাধ্যমিক স্তরে শতভাগ বই পৌঁছেনি জেলায়। কবে নাগাদ ঘাটতি পূরনের জন্য বই পৌঁছবে তারও সঠিক হিসাব নেই জেলা শিক্ষা অফিসে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, পঞ্চম শ্রেণি ব্যতিত সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন বই প্রতিটি বিদ্যালয়ে পৌঁছানো হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে শিশু শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণির সকল শিক্ষার্থীর মাঝে বছরের প্রথম দিনই বই বিতরণ করা হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণির বই না পৌঁছানোর কারণে এই শ্রেণির শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাচ্ছে না। কবে নাগাদ এসব বই পৌঁছাবে সেটাও নিশ্চিত না।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাত্র ২২ শতাংশ বই পেয়েছি। তা দিয়েই বই বিতরণ শুরু করা হয়েছে। বাকি বই পৌঁছালে বিদ্যালয়গুলোতে দেওয়া হবে। কবে আসবে, তা জানা নেই।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম নবী বলেন, পঞ্চম শ্রেণি ব্যতিত সকল শিক্ষার্থীর বই বিদ্যালয়ে পৌঁছানো হয়েছে। শিশু শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর হাতে নুতন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে।
সারাবাংলা/এএম