Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কুবিতে হলের সিট বণ্টনে ছাত্রলীগ নেতার হস্তক্ষেপ, প্রশাসন নীরব

কুবি করেসপন্ডেন্ট
৩ জানুয়ারি ২০২২ ২০:১৫

রাফিউল আলম দীপ্ত, ছবি: সারাবাংলা

কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলে নিজের ইচ্ছানুযায়ী সিট বণ্টনের অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাফিউল আলম দীপ্তের বিরুদ্ধে। এছাড়া হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থীর সিটে অন্য আরেক শিক্ষার্থীকে উঠিয়ে দেওয়া ও শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেওয়াসহ আরও নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

সভাপতি দীপ্ত কয়েকজন নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গত ১ জানুয়ারি (শনিবার) রাতে হলের সিট শিক্ষার্থীদের মধ্যে বণ্টন করেন। এ সময় বিভিন্ন আবাসিক শিক্ষার্থীর সিটে অন্য শিক্ষার্থীকে উঠিয়ে বিভ্রান্তি ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।

বিজ্ঞাপন

দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আমি বেতন দিয়ে হলে থাকি। আমি এখন একটা দরকারে ঢাকা আসছি। আমাকে না জানিয়ে আমার সিটে অন্য একজনকে হঠাৎ করে কীভাবে উঠিয়ে দেওয়া হলো তা আমি বুঝলাম না। হলে প্রভোস্ট আরও শক্ত হলে সে এই সুযোগ পেত না। আমি এর বিচার চাই।’

হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাফিউল আলম দিপ্ত বলেন, ‘ওই সব শিক্ষার্থীরা গণরুমে ছিল। তাই তাদের হলে সিটের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এভাবে সিট বণ্টনের অধিকার আপনার আছে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, হলের প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটরদের সঙ্গে কথা বলে সিট বণ্টন করেছি। তবে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া এসব ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘এই বিষয় আমি কিছুই জানি না। হলের সিট বণ্টন এটা তো হল প্রভোস্টের কাজ। ছাত্রলীগ সিট বন্টন করবে কেন? হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমন্বয় করে সহযোগিতা করতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

সিনিয়র শিক্ষার্থী হল ছেড়ে দেওয়ার আগেই জুনিয়র শিক্ষার্থীদের উঠিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘একজন রুমের সিটে থাকা অবস্থায় যদি আরেক জনকে সিটে উঠিয়ে দেওয়া হয় তাহলে এটা অবশ্যই বেআইনি। যদি হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এই ধরনের কিছু করে থাকে তাকে অবশ্যই এর জন্য সাংগঠনিক জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে।’

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ নিজেই দত্ত হলের ৩০০১ নাম্বার রুম দীর্ঘ ৬ বছরের অধিক সময় ধরে দখল করে একাই থাকছেন। বর্তমানে সপ্তাহে ৪ দিন বাসায় থাকলেও তিনি এ রুমটি দখলে রেখেছেন। পুরো একটি রুম একাই দখল করে রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় সাংগঠনিক কাজে আমার রুমটি ব্যবহার হয়।’

এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জুলহাস মিয়া বলেন, ‘সিট বণ্টনের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমাকে জানিয়ে সিট বন্টন করা হয়নি। আর আমি আজ হলে গিয়ে এ বিষয়গুলোর খোঁজ নেব।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘আমি হলের প্রভোস্টের কাছ থেকে শুনে কি ব্যবস্থা নেওয়া যায় আমি ব্যবস্থা নেব।’

সারাবাংলা/এনএস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ রাফিউল আলম দীপ্ত শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর