Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাগরে মিলেছে ৩৫০ প্রজাতির মাছ, ২০০’র বেশি শৈবাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ জানুয়ারি ২০২২ ০৯:২২

আব্দুল মোমেন, ছবি: সারবাংলা

ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে প্রায় ৩৫০ প্রজাতির মাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। এছাড়াও আরও ২০০ প্রজাতির বেশি সমুদ্র শৈবাল পাওয়া গেছে। এই শৈবাল থেকে কমপক্ষে ২১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের কাঁচামালের চাহিদা পুরণ করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার (৫ জানুয়ারি) নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে আব্দুল মোমেন জানান, মাছের খাদ্য, পশুর খাদ্য ও বিভিন্ন টয়লেট্রিজ উৎপাদনে একুশ হাজার কোটি টাকার কাঁচামালের প্রয়োজন হয়। যার বেশিরভাগই আমদানি করতে হয়। কিন্তু এই কাঁচামালের পুরোটাই বঙ্গোপসাগরে থাকা সামুদ্রিক শৈবাল ব্যবহার করে দেশে উৎপাদন করা সম্ভব। নিজেদের ব্যবহার করার পরেই তা বিদেশে রফতানি করা যাবে।

জানা গেছে, নেদারল্যান্ডস সরকারের আর্থিক সহায়তায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট বাংলাদেশের সমুদ্র এলাকায় সমুদ্রের প্রাণিজ ও উদ্ভিদ সংক্রান্ত সম্পদের উপস্থিতি, সার্বিক অবস্থান, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং বাণিজ্যিকিকরণের বিষয় মাথায় রেখে গত দুই বছর ধরে সাগরো গবেষণা চালায়। গবেষণায় বাংলাদেশে ২২০ প্রজাতির সামদ্রিক শৈবাল (সিউইড), ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ৬১ প্রজাতির সি- গ্রাস চিহ্নিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব মো. খুরশেদ আলম বলেন, দুই বছর ধরে নেদারল্যান্ডের সহায়তায় এ গবেষণা করা হয়েছে। এতে যা পাওয়া গেছে তা বাণিজ্যকভাবে আমাদের লাভবান করবে। এর মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলের ব্যাপক উন্নতি সম্ভব।

বিজ্ঞাপন

ওই গবেষণায় বাংলাদেশে প্রাপ্ত নির্দিষ্ট প্রজাতির কিছু সামুদ্রিক শৈবাল কমপক্ষে পাঁচটি শিল্পে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা যাবে। এরমধ্যে রয়েছে মাছের খাবার, পশুর খাবার, খাদ্য শিল্প, প্রসাধন সামগ্রী ও বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামালের যোগান দেবে বলেও জানিয়েছেন খুরশেদ আলম।

এ বিষয়ে পররাস্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, সমুদ্র অর্থনীতিতে আমাদের উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে। দেশে পশুখাদ্যের ১৬ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে, মাছের খাদ্য ৫ হাজার কোটি টাকা এবং প্রসাধন সামগ্রীর বাজার ৭ হাজার কোটি টাকা। এই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।

সারাবাংলা/জেআর/এনএস

২০০ বেশি শৈবাল ৩৫০ প্রজাতির মাছ বঙ্গোপসাগর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর