‘পিঠা উৎসবের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে হবে’
৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:১৫
ঢাকা: অসাম্প্রদায়িক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে যে যার অবস্থান থেকে আরও সক্রিয় হওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ প্রাঙ্গণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকা (বিজেএফডি) আয়োজিত পিঠা উৎসবে তারা এ প্রত্যয় জানান। বিজেএফডি সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহ মুহাম্মদ মুতাসিম বিল্লাহ। পিঠা উৎসবটি সকাল ৮টায় শুরু হয়ে শেষ হয় বেলা ১১টায়।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন- সিনিয়র সাংবাদিক জাকারিয়া কাজল, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, গোলাম সামদানী, হাসান জাবেদ, শামীমা দোলা, সাজিদা ইসলাম পারুল, আমান উল্লাহ আমান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হেলাল উদ্দীন। বক্তারা সবক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্য ধরে রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
পিঠা উৎসবে বিজেএফডির শতাধিক সদস্য ছাড়াও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিবসহ ক্র্যাবসহ বিভিন্ন সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
সকাল ৯টায় ফিতা কেটে পিঠা উৎসবের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিজেএফডির সভাপতি সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। অতিথিরা ডিআরইউ‘র ডাইনিং স্পেসে ঢুকে অবাক। গ্রামে ফেলে আসা শৈশব যেন মুহূর্তেই নস্টালজিক করে দিল সবাইকে। টেবিলে সাজানো রয়েছে নানা রকমের পিঠার পাত্র। টেবিলে টেবিলে সাজানো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার জনপ্রিয় সব পিঠা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী ১০ রকমের পিঠা রাখা হয় উৎসবে, সঙ্গে মুড়ি, মুড়কি, মুরালি ইত্যাদি। উৎসবে রাখা অন্যান্য পিঠার মধ্যে ছিল পোয়া, নকশি, মেড়া, পাকন, পাটিসাপটা, নারকেল পুলি, কিমা পুলি ইত্যাদি।
পিঠার পাশাপাশি ‘রাজা মামার’ ৫০ রকমের চা রসনা মিটিয়েছে অতিথিদের। বিনোদনের জন্য ছিল লোকগানের আসর।
সারাবাংলা/জিএস/এমও