‘নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্তে হত্যা বন্ধ হচ্ছে না’
৭ জানুয়ারি ২০২২ ২১:১২
ঢাকা: সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বন্ধ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০ দলীয় জোটের শরিকদল বাংলাদেশ লেবার পার্টির কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ৭ জানুয়ারি ফেলানী হত্যা দিবস উপলক্ষে এ কনভেনশন আয়োজন করা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বন্ধ হচ্ছে না। আমরা চাই না আর কোনো ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলে থাকুক। সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু আমরা দেখতে চাই না। আমাদেরকে শক্তি অর্জন করতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করে জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে এই ফেলানীদেরকে রক্ষা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই, প্রধান বিচারপতিকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। বর্তমান সরকারকে সরাতে যে আন্দোলন বিএনপি করছে, তাতে টানেলের শেষ প্রান্তে আলোর রেখা দেখতে পাচ্ছি। এই সরকারের আয়ু বেশি দিন নেই। রাজপথে অনেক বেশি লোকসমাগম হচ্ছে, সাধারণ মানুষও আসছে। পরিবর্তন আসবেই।’
চলমান ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের তুলনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে হাফিজ বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হচ্ছে, নৌকার ভরাডুবি হচ্ছে। স্বতন্ত্র ও বিরোধী প্রার্থীরা জয় পাচ্ছেন। নির্বাচনে এতো কারচুপির পরও তারা জিততে পারছে না।’
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের চেহারা কেমন, এক মুরাদ হাসানের মাধ্যমে আমরা দেখতে পেলাম। এরকম অসংখ্য মুরাদ হাসান রয়েছে। মুরাদ হাসান হলো ‘টিপ অফ দ্য আইসবার্গ’। অধিকাংশ মুরাদ হাসানরা পানির নিচে, তাদের চেহারা এখনও দেখা যাচ্ছে না। সরকার পরিবর্তন হলে অসংখ্য মুরাদ হাসন পাবেন। সেই দিন বেশি দূরে নয়, অপেক্ষা করুন।”
সম্প্রতি দেশের একটি বাহিনীর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ টেনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আগামী দিনে তারা (আওয়ামী লীগ) নিশিরাতে নির্বাচন করতে পারবে না। যেহেতু বিশ্বের পরাশক্তির দৃষ্টি আকর্ষণ হচ্ছে, একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে। আরও অনেক নিষেধাজ্ঞা আসবে। যদিও এটি আমাদের জন্য লজ্জার।’
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যালবার্ট পি কস্টা, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফারুক রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেহ উদ্দিন, রামকৃষ্ণ সাহা, বিএনপির প্রান্তিক বিষয়ক সম্পাদক অর্পনা রায় দাস, মুক্তিযোদ্ধা দলের যুগ্ম-সম্পাদক শহীদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, লেবার পার্টির যুগ্ম-মহাসচিব আবদুর রহমান খোকনসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/এজেড/এমও
নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ফেলানী হত্যা দিবস মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ সীমান্তে হত্যা বন্ধ