রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার
৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:০৩
ঢাকা: রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মৃতরা হলেন, সবুজবাগের শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলাম (১৮), কামরাঙ্গীরচরের রহিদুল ইসলাম হৃদয় (২২) ও রাসেল হোসেন (২৫)।
শফিকুলের মামাতো ভাই মো. লালন আহমেদ জানান, শফিকুলের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা গ্রামে। বাবার নাম মাজহারুল ইসলাম। তার ভগ্নিপতি সিদ্দিকুর রহমান পায়েলের সঙ্গে সবুজবাগ বাগপাড়া পশ্চিম রাজারবাগ এলাকায় থাকতো। মিরপুর বাঙলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল সে।
সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিমল চন্দ্র পাইন জানান, শনিবার রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে পশ্চিম রাজারবাগের একটি বাসার দরজা ভেঙে শফিকুলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রুমের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।
তিনি আরও জানান, মানসিক ভাবে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান জানান, শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কামরাঙ্গীরচর পশ্চিম ইব্রাহিমনগর বালুর মাঠ এলাকায় আব্বাস শেখের বাড়ি দ্বিতীয় তলায় দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় হৃদয়ের। রুমটিতে তিন জন মিলে থাকত। তবে ঘটনার সময় বাকি দুজন বাসার বাইরে ছিল বলে জানা গেছে।
তিনি জানান, রাত আনুমানিক ১১টার দিকে সে তার ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলো যেখানে লেখা, ‘আসসালামুআলাইকুম, বিদায় ফেসবুক ফ্রেন্ড’। এই পোস্ট দেখে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত কারণ বা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
হৃদয়ের বড় ভাই মো. সাগর জানান, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায়। তার বাবা মৃত মৌলভী কায়সার। কামরাঙ্গীরচরে একটি ছবি বাঁধাই কারখানায় কাজ করত হৃদয়। গত রাত দেড়টার দিকে তার রুমমেটের মাধ্যমে খবর পান গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। গলায় ফাঁস দেওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। তিন ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল হৃদয়।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রনি চৌধুরী জানান, গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঝাউচর লবণ ফ্যাক্টরি গলির একটি বাড়ি থেকে রাসেল নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, রাসেলের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করতে সে। গত এক মাস আগে রুমি নামের এক নারীকে বিয়ে করে সে। এর মধ্যেই তাদের মাঝে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে রাসেল গতকাল দুপুরে খাটের খুঁটির সঙ্গে গামছা পেচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় রাসেলের বোন জামাই রিয়াজ বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা করেছেন। মামলায় তার স্ত্রী রুমী এবং রুমীর পূর্বপরিচিত কাইয়ুম নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আজ আদালতে পাঠানো হবে। কাউয়ুমের সঙ্গে রুমীর অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সারাবংলা/এসএসআর/এসএসএ
সারাবাংলা/এসএসএ