ময়মনসিংহ: গাজীপুরের সালনা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবিতে ডাকা পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত করেছে ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং উত্তরাঞ্চলীয় মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। সড়ক সংস্কার নিয়ে বিভাগীয় কমিশনারের আলোচনা আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ধর্মঘট স্থগিতের তথ্য জানিয়েছেন সংগঠন দুইটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যোগাযোগ সচিবের অনুরোধ ও আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার আগামী ২৬ জানুয়ারি (বুধবার) আলোচনা আহ্বান করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত ঘোষণা করা হলো।
২৬ জানুয়ারি বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এতে গণপরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা প্রচারের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে রোববার সকাল থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অসুবিধার কারণেও দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে, গাজীপুরের সালনা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত দ্রুত সড়ক সংস্কারের দাবিতে ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও ময়মনসিংহ জিলা মোটর মালিক সমিতি ধর্মঘটের ডাক দেয় শনিবার (১৫ জানুয়ারি)। বলা হয়, রোববার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
ওই ঘোষণার পর রোববার ভোর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়। ভোর থেকে নগরীর মাসকান্দা আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ড ও পাট গুদাম স্ট্যান্ড থেকে ঢাকার উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি এবং ঢাকা থেকেও কোনো বাস ছেড়ে আসেনি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা জানান, ময়মনসিংহ থেকে গাজীপুরের সালনা পর্যন্ত যেতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। কিন্তু গাজীপুরে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ধীর গতি ও রাস্তা যানচলাচলের উপযোগী না রাখার কারণে সালনা থেকে টঙ্গী হয়ে মহাখালী পর্যন্ত যেতে সময় লাগে তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত। পরিবহন মালিকরা বিষয়টি নিয়ে বারবার সরকার ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও কোনো লাভ হয়নি। সে কারণেই তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন।
এর আগে, গত ২ জানুয়ারি ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও ময়মনসিংহ জিলা মোটর মালিক সমিতির নেতারা সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা বলেন, ১৫ দিনের মধ্য সড়কের অবস্থার উন্নতি না হলে ১৬ জানুয়ারি থেকে ধর্মঘটের ডাক দেবেন। ওই ঘোষণা অনুযায়ীই রোববার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করেছিলেন তারা।