Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বরিশালে ‘ক্লুলেস’ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেফতার ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৬ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:৪০

বরিশাল: বাবুগঞ্জ এলাকার গৃহবধূ মরিয়ম বেগমের (৪৩) ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ অভিযানে নেমে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে স্থানীয় দোকানদার সুমন ফকির (৩৫) ও শয়ন চন্দ্র শীলকে (১৯) গ্রেফতার করে। মূলত মৃত ওই গৃহবধূর মোবাইলফোন থেকে পাওয়া কলের তথ্যানুযায়ী ঘটনার সঙ্গে জড়িত এ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

যৌন নির্যাতনের পর মরিয়ম বেগম (৪৩) নামের ওই নারীর মাথায় লাঠির আঘাত দিয়ে হত্যা করা হয় এবং তারপরই বাড়ির পাশের সন্ধ্যা নদীতে ওই নারীর মরদেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. শাহজাহান হোসেন জানান, ১৩ জানুয়ারি বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের ভূতেরদিয়া গ্রাম সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর একটি নালার মধ্য থেকে মরিয়ম বেগমের মরদেহ পাওয়া যায়। এরপরই মৃতের ছেলে মো. ইমরান হোসেন বাবুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, তার মা মরিয়ম বেগমকে ১২ জানুয়ারি রাত ১০টার পর থেকে ১৩ জানুয়ারি সকালের মধ্যে বসতঘর থেকে বাহিরে নিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করে হত্যা করা হয়। হত্যার পর মরদেহ বাড়ি সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

এরপর বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযানে নেমে সুমন ফকির ও শয়ন চন্দ্র শীলকে গ্রেফতার করে। এরা দুজনই ঘটনার পর থেকে এলাকায় ছিলেন না। গ্রেফতার সুমন ফকির ভূতেরদিয়া এলাকার আতাহার ফকিরের ছেলে এবং শয়ন চন্দ্র শীল একই এলাকার নরেন চন্দ্র শীলের ছেলে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামিরা জানিয়েছেন, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ও পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক একা থাকায় ঘটনার রাতে মরিয়ম বেগমের ঘরে যান তারা। ঘরের ভেতর মরিয়ম বেগমকে জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন করে। কিন্তু ভিকটিম সামাজিকভাবে ওই ঘটনার বিষয়ে স্থানীয়দের কাছে বিচার চাওয়ার কথা জানালে মরিয়মকে ঘর থেকে টেনে বের করে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে সন্ধ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতাররা ওই এলাকায় বখাটেপনাসহ বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত রয়েছে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি ও অপরাধ) মো. ইকবাল হোসাইন বলেন, মরিয়ম বেগমের মরদেহর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে তার সন্তানদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এসএসএ

বরিশাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর