Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ওমিক্রনে ক্ষতি কম ভেবে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই: স্বাস্থ্য অধিদফতর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:৪৮

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তের হার বাড়ছে। এরইমধ্যে দেশে কোভিড-১৯ নমুনার সিকোয়েন্সিংয়ে শনাক্ত হয়েছে নতুন ধরণ ওমিক্রন। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। তাই নতুন এই ধরনটিতে তুলনামূলকভাবে ক্ষতি কম হয় বলে তাতে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই বলে সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

রোববার (১৬ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেমন ওমিক্রন ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট রিপ্লেস করেছে, বাংলাদেশেও হয়তো এক সময় সেটি হয়ে যাবে। আমাদের অনেকেরই একটি ধারণা হয়েছে, বাংলাদেশে এখনও হয়ত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু ভয়াবহ কিছু নয়। এটি কিন্তু বৈজ্ঞানিকভাবে তথ্য-প্রমাণ দিয়ে একেবারে নিশ্চিত করে বলার সময় আসেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ধরে নিতে হবে বাংলাদেশে এখনো মূলত ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট প্রাধান্য বিস্তার করে আছে। তবে ওমিক্রনের সংক্রমণ ঘটেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেমন ওমিক্রন ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট রিপ্লেস করেছে, বাংলাদেশেও হয়তো এক সময় সেটি হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে আমাদের আত্মতুষ্টির কোনো জায়গা নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।’

ডা. নাজমুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সরকারের দেওয়া বিধি-নিষেধগুলো যার বেলায় যেটি প্রযোজ্য সেটি যদি আমরা মেনে চলি তাহলে সংক্রমণের এখন যে চিত্র আছে, যে ঢেউটি আসছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি সেই ঢেউটি গতবারের মতো সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারব। এখানে আতঙ্ক নয়, সচেতনতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘গত ১ সপ্তাহে বাংলাদেশে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩০৫টি পরীক্ষা করা হয়েছে। পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনা ৪৮ হাজার ১৯২টি বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শতকরা হিসেবে ২২২ শতাংশ বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ১ সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যু বেড়েছে শতকরা ৬১ শতাংশ।’

তিনি বলেন, ‘আশার কথা হচ্ছে, শনাক্ত ১০০ জন রোগীর মধ্যে ৯৬ শতাংশের বেশি রোগী সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, করোনা অতিমারির মধ্যে গত ২ বছর আমরা যে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছি। বিশেষ করে গত বছর ডেলটা দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কাটিকে আমরা চেষ্টা করে সামলেছি অথবা সামলানোর চেষ্টা করেছি। সেই ধাক্কার পরবর্তী বিষয় কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে।’

সারাবাংলা/এসবি/একে

ওমিক্রন করোনা করোনাভাইরাস স্বাস্থ্য অধিদফতর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর