ভুঁইফোঁড় সংগঠন: দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২০ ফেব্রুয়ারি
১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৪০
ঢাকা: আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে গড়ে তোলা ভুঁইফোঁড় সংগঠন ‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মনির খান ওরফে দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। এজন্য বিচারক নতুন করে এই তারিখ ধার্য করেন।
গত বছরের ৩ আগস্ট দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় ঈসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। গত ৪ আগস্ট আসামি দর্জি মনিরকে চারদিনের মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ছোট দর্জির দোকানের চাকরি করতেন মনির। হঠাৎ করে তিনি নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আইডির মাধ্যমে বন্ধু হয়। তিনি একেক সময়ে একেক রাজনৈতিক পদবী, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এবং অনেক মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে নিজের ছবি কম্পিউটার সফটওয়্যার মাধ্যমে এডিট করেন। পাশাপাশি নিজেকে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিতেন তিনি।
দর্জি মনির এবং তার সহযোগীরা ঢাকা মহানগরীতে এবং বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেয়। তিনি তার ভুঁইফোড় সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় এবং রাজনৈতিক প্রধানের নাম করে টাকা আদায়, বিভিন্ন চাকরি দেওয়া এবং পদায়নের জন্য অনেক লোকজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন।
গত বছরের ৩০ জুলাই কামরাঙ্গীরচর থানার মাদবর বাজার ৫৭ নং ওয়ার্ডে তার সংগঠনের পদ প্রদানের ও বিভিন্ন বড় বড় নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করে দেওয়ার নাম করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন দর্জি মনির। তিনি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ডিজিটাল জালিয়াতির মাধ্যমে ছবি এডিট করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজের ছবি বসিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ছবি এবং বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সাধারণ মানুষদের ঠকানোর উদ্দেশ্য তাদের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন করে যে, তিনি একজন বিরাট নেতা। যার ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার উপক্রম হয়।
সারাবাংলা/এআই/এনএস
দর্জি মনির বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ ভুঁইফোঁড় সংগঠন