Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘খুদে ডাক্তার’র মাধ্যমে হবে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৭ জানুয়ারি ২০২২ ২০:১৪

ফাইল ছবি

ঢাকা: দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন এবং সমপর্যায়ের মাদ্রাসাসহ সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘খুদে ডাক্তার’ দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। আগামী ২২ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। এজন্য ‘খুদে ডাক্তার’দের দল গঠন করা হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। শিক্ষার্থীদের ওজন, উচ্চতা ও দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা করে অস্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধি, দৃষ্টিশক্তির ত্রুটিসহ নানা বিষয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নজরে আনবে এই খুদে শিক্ষার্থীদের দল।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) এ বিষয়ে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি মাদরাসা প্রধানকে জানিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতর। এর আগে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের জানাতে নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত কিন্ডারগার্টেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সমপর্যায়ের মাদরাসাসহ সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘খুদে ডাক্তার’ কর্তৃক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গঠিত ‘খুদে ডাক্তার’ দল তাদের জন্য নির্ধারিত শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর ওজন, উচ্চতা ও দৃষ্টিশক্তি পরিমাপসহ আনুষঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করে তা স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফরমে লিপিবদ্ধ করবে।

চিঠিতে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ‘খুদে ডাক্তার’ দল গঠন এবং তাদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা একটি অভিনব কার্যক্রম। এতে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত হওয়ার, দলগতভাবে কাজ করার, এমনকি সুশৃঙ্খলভাবে বেড়ে ওঠার সুযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে ‘খুদে ডাক্তার’র দল কোনো শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক বৃদ্ধিসহ দৃষ্টিশক্তিতে ত্রুটি কিংবা স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফরমে উল্লেখিত অন্যান্য বিষয়াদির তথ্যও গাইড শিক্ষকের নজরে আনতে পারবে এবং বিষয়গুলো প্রাথমিক পর্যায়েই সংশোধনের ব্যাপারেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

প্রসঙ্গত, শিশুর মাধ্যমে শিশুদের স্বাস্থ্য-শিক্ষা দেওয়ার লক্ষ্যে ২০১১ সাল থেকে ‘খুদে ডাক্তার’ কর্মসূচি শুরু করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রতি শ্রেণি বা সেকশন থেকে তিন জনকে ‘খুদে ডাক্তার’ নির্বাচন করা হয়। সেজন্য প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণি থেকে শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়। বাছাই করা এসব শিক্ষার্থীদের ‘খুদে ডাক্তার’ উপাধি দিয়ে একজন শ্রেণি শিক্ষক বা গাইড শিক্ষকের মাধ্যমে তাদের কাজ সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: ‘খুদে ডাক্তার’দের ট্যাবলেট খাইয়ে কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু

নির্ধারিত শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবার্তা পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করে থাকে ‘খুদে ডাক্তার’রা। বছরে দুই বার জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়া ও দুই বারেই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা (ওজন, উচ্চতা ও দৃষ্টি শক্তির পরিমাপ) করার নিয়মগুলো তারা শিক্ষার্থীদের জানিয়ে থাকে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিষয়ক বিভিন্ন দিবসে সক্রিয় অংশ নেওয়া হচ্ছে ‘খুদে ডাক্তার’ দলের অন্যতম প্রধান কাজ। একজন গাইড শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে তাদের এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে।

বছরে দুই বার শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থীদের উচ্চতা, ওজন পরিমাপ ও দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষার মাধ্যমে মূলত তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজটি হয়ে থাকে। এর লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ উচ্চতা, ওজন ও দৃষ্টিশক্তি সম্পর্কে সচেতন করে তোলা। এছাড়া কোনো শিশু শিক্ষার্থীর উচ্চতা, ওজন বা দৃষ্টিশক্তির কোনো সমস্যা থাকলে তা প্রতিকারের ব্যবস্থা করাও এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য।

সারাবাংলা/এসবি/এনএস

খুদে ডাক্তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর